ফিচার

গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে পুড়ে খাক হবে বিশ্ব,ডেকে আনতে পারে কী ভয়ঙ্কর পরিণতি, চিন্তা করতে পারবেন না!

Global warming will cause the world to burn

The Truth of Bengal: গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা উষ্ণায়ণের আঁচে পুড়ছে বিশ্ব। আগামী ২বছরে সেই উষ্ণতার পারদ রেকর্ড ছাড়িয়ে রেকর্ড করবে।২০৩০এ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন বিপদ ডেকে আনতে পারে। এমনকি তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।যাতে তাপমাত্রা সহ সামগ্রিক আবহাওয়া সীমা ছাড়াতে পারে।গত বছর,বিশ্বের এনার্জি সম্পর্কিত সিওটু নিগর্মন রেকর্ড পরিমাণ বাড়বে। উষ্ণায়নের  এই চলতি ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে বিপদের কিনারায় দাঁড় করিয়ে দেবে পৃথিবীকে।

রাষ্ট্রসংঘের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি সাইমন স্টিয়েল জানিয়েছেন আগামী ২ বছর পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।লন্ডনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে  থিঙ্ক ট্যাঙ্ক  সম্পর্কিত বিষয়ে স্টিয়েল বুঝিয়ে দেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের এই বিপদ বাড়ানোর জন্য ৮০ শতাংশ দায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলো। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন কার্বন গ্যাস নির্গমনের এই প্রবণতা কমলে তা মানুষেরই ভালো করবে। বর্তমান সময়ে এই আলোচনা আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।  আইপিসিসি রিপোর্ট জানাচ্ছে, গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ বেড়ে চলার জেরে এক দশকের মধ্যে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির হার পেরোতে পারে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের হার হবে আরও দ্রুত। নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে গোটা বাস্তুতন্ত্রে।  পরিবেশের এই ভয়ঙ্কর অবস্থা থেকে বাঁচতে বিশ্বের সমস্ত দেশকেই পদক্ষেপ করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা অর্ধেক এবং ২০৫০-এর মধ্যে তাকে শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য কার্যকর করতে হবে।রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের মতে, “বরফের উপরে রয়েছে মানবসভ্যতা।  সেই বরফ দ্রুত গলছে।   বিশ্ব জুড়ে পরিবেশের সামগ্রিক উন্নতি না হলে দুনিয়ার মানুষকেই যে ভুগতে হবে তা উন্নত দেশগুলো কবে বুঝবে সেই প্রশ্ন উঠছে।জি-২০ গোষ্ঠীর সদস্যরা এবিষয়ে সবার সংবেদনশীলতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে।

Related Articles