বিনোদন

ঐন্দ্রিলার মৃত্যুবার্ষিকীতে আবেগী সৌরভ!

Emotional Sourav on Aindrila's death anniversary!

The Truth Of Bengal : একটা বছর পার হয়ে গেল আজ টলিপাড়ার ‘অভিনেত্রী, লড়াকু মেয়ে ঐন্দ্রিলা শর্মা নেই। টানা ১৯ দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে লড়াই করার পর অবশেষে সকলকে ফাঁকি দিয়ে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া মেয়েটার আজ মৃত্যু বার্ষিকী। আজকের দিনেই নিজের পরিবার সহ সব্যকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। আর সেইদিন থেকেই ঐন্দ্রিলার সব্যর খেয়াল রাখার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন বন্ধু সৌরভ দাস।

গত বছর আজকের এই দিনটাতেই প্রিয়জন সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন লড়াকু মেয়ে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। গোটা বাংলা সেইদিন তাঁকে হারানোর দুঃখে চোখের জল ফেললেও বন্ধু সৌরভ জানিয়েছিলেন, ঐন্দ্রিলা জয়ী হয়েছে, ও হাঁড়েনি। বান্ধবীর উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছিলেন, ‘মিষ্টি আমরা তোমাকে ভালোবাসি, আর সবসময় ভালো বাসব। এবছরও বান্ধবীর মৃত্যুবার্ষিকীতে বার্তা পাঠালেন অভিনেতা সৌরভ দাস।

এইদিন সৌরভ বলেন, কাজ করার সময় ঐন্দ্রিলার সঙ্গে আমার খুব একটা বন্ধুত্বটা হয়নি। তবে ঐন্দ্রিলা যে ফাইটার তা জানতাম আমি। আমার মাও বলত একই কথা। ওর সঙ্গে আমার বন্ধুত্বটা জমল যখন সব্যসাচী আর আমি ক্যাফেটা করলাম। এমন অনেক সময় হয়েছে যে অনেক ভিড় হয়েছে সেখানে, সেই সময় সাহায্যের জন্য ঐন্দ্রিলা (মিষ্টি )এগিয়ে এসেছে।

গত বছর ঐন্দ্রিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার সর্ব সময়ের জন্য ছায়াসঙ্গী হয়ে ছিলেন সব্যসাচী। সেই সাথে ১৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন অভিনেতা সৌরভও‌। তবে বিবাহ অভিযানের শ্যুটিংয়ের জন্য ১৪ তারিখ বেরোতে হয়েছিল অভিনেতা সৌরভকে। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর সময় আর তার পাশে থাকতে পারেননি তিনি। আর সেটাই ছিল তার জীবনে সবচেয়ে বড় আফশোস। কষ্ট মিশ্রিত গলায় তিনি বলেন, তিনি শুটিং সেরে ফেরার আগেই ঐন্দ্রিলা চলে গেলেন।

আসলে অভিনেতা বিশ্বাস করতেন যে অভিনেত্রী যেমন বারবার ফাইট করে ফেরত আসেন তেমনই আসবেন। সৌরভের কথায়, ‘১৪ দিন হাসপাতালে ছিলাম সব্য, আমি ও আমাদের এক বন্ধু। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটা ঘর দিয়েছিল। তিনটে সোফা ছিল। রাতে সেখানে শুয়ে থাকতাম। আমি ক্যাফে থেকে ফেরার সময় খাবার নিয়ে যখন আসতাম অনেক সময় দেখতাম সব্য ওয়েটিং রুমে নেই। ও পাঁচতলায় একটা ছোট্ট টুলে বসে রয়েছে। ভেতরে মিষ্টি। আমি গেলেই বাচ্চাদের মতো বলে উঠত, জানিস সৌরভ আজ আমার আঙুলটা মুভ করেছিল। মানুষ চাঁদে যাচ্ছে। মহাকাশে যাচ্ছে। আরও কত কিছু করছে। কিন্তু, একটা আঙুল নাড়া মানে যে কতটা প্রাপ্তি তা সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম’।

FREE ACCESS

Related Articles