বিনোদন

নিজের সবচেয়ে প্রিয় নায়কের সঙ্গে কাজ করার মজাই আলাদা, জানালেন সৌমিতৃষা!

 

মিঠাই ধারাবাহিকে দারুণ ছটফটে চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন সৌমিতৃষা কুন্ডু। এরপরই বড় পর্দায় দেবের বিপরীতে ‘প্রধান’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। ছবিতে তিনি একজন শান্ত, ঠান্ডা মাথার নববিবাহিতা মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

এই চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে সৌমিত্রিশার। তিনি বলেন, “মিঠাইয়ে আমি দুটো চরিত্র করলেও আমাদের পরিচালক রাজেন দা সবসময় বলতেন ‘তুই কিন্তু আদতে তিনটে চরিত্র করছিস’। আসলে প্রথমে মিঠাই ভীষণই ছটফটে ছিল। তারপর মিঠি এল, সে শিক্ষিত হলেও ছটফটে ছিল। পরে যখন আবার মিঠাই ফিরে আসে তখন সে কিন্তু শান্ত, ভীতু হয়ে ফিরে আসে। এখানে আবার রুমি একেবারেই শান্ত। অন্যরকমের। গোটা টিম খুব সাহায্য করেছে যাতে দুটো চরিত্রের মধ্যে ফারাক তৈরি করা যায়। আমি শুট তো বটেই তার বাইরেও চুপচাপ থাকতাম। কথা বলতাম না খুব একটা। ঠান্ডা থাকতাম চরিত্রের মতোই।”

সৌমিতৃষা দেবের একজন বড় ভক্ত। তাই দেবের সঙ্গে প্রথম ছবিতেই কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা তাঁর জন্য ছিল বিরাট স্বপ্নপূরণ। তিনি বলেন, “সকলেই জানে উনি আমার কতটা পছন্দের হিরো। এত বছর কাজ করছেন, আমি তো প্রথম ভয় পেয়েছিলাম, ভাবছিলাম কিছু যদি ভুলচুক হয় কী বলবেন। কিন্তু পরে দেখলাম একেবারেই সেটা নয়। সেটে উনি আমার সহ অভিনেতাই। ওঁর উল্টো দিকে যে থাকত সবার সঙ্গেই হেসে ভালো করে কথা বলতেন। সবার দিকে নজর রাখতেন। আমরা এখন নতুন, আমরা এগুলো করি। কিন্তু উনি ১৭ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে থেকেও নিজের শিকড় ভোলেননি। মাটিতে পা রেখে চলেন। এটাই শেখার। এটাই বোঝার যে নিজের অতীতটা ভুলেও যেন নিজের মূল্যবোধ কখনোই বদলাতে না হয়।”

মিঠাই হোক বা রুমি, সৌমিতৃষার জন্য ভক্তদের উন্মাদনা দেখার মতো। তিনি বলেন, “বিশ্বাস করো, আমি না মিউজিক লঞ্চের দিন অবাক হয়ে গিয়েছি যে বাংলাদেশ থেকে মানুষরা এসেছেন দেখা করতে। এত্ত ভালো লেগেছিল যে কী বলব। দেখো, অনেক সিরিয়াল তো হিট করে, শেষ হওয়ার পর সকলকে নতুন চরিত্রে দেখা যায়, আগেরটা ভুলে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে হয়নি। দর্শকরা আমার নতুন কাজের জন্য মুখিয়ে ছিল। কেউ নৈহাটির বড় মায়ের কাছে পুজোও দিয়েছে। কেউ আবার বলেছেন ‘আমি তো মুসলিম, পুজোও দিতে পারব না। আমি তোমার জন্য নামাজ পড়েছি।’ এগুলোই আমার পাওনা। আমার দর্শকরা যেন আমার সঙ্গে সঙ্গেই চলছে।”

Related Articles