কাবুলিওয়ালা দিয়ে কি স্ক্রিনে ম্যাজিক করতে পারলেন মিঠুন? জানুন বিস্তারিত!

১৯৫৭ সালে তপন সিংহ পরিচালিত এবং ১৯৬১ সালে হেমেন গুপ্ত পরিচালিত কাবুলিওয়ালা চলচ্চিত্র দুটি বাংলা ও হিন্দি ভাষায় যথাক্রমে আমজনতার প্রিয় হয়েছিল। ২০২৩ সালের কাবুলিওয়ালা চলচ্চিত্রটিও এই ঐতিহ্যবাহী গল্পের নতুন সংস্করণ।
চলচ্চিত্রটি ১৯৬৫ সালের কলকাতার পটভূমিতে নির্মিত। রহমত (মিঠুন চক্রবর্তী) একজন আফগান কাবুলিওয়ালা যিনি কলকাতায় বসবাস করেন এবং ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি মিনি (অনুমেঘা) নামের এক ছোট্ট মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করেন। মিনি তার বাবা-মায়ের সাথে থাকে, কিন্তু তাদের সাথে তার খুব একটা ভালো সম্পর্ক নেই। রহমতের সাথে মিনির বন্ধুত্ব তাকে স্নেহ এবং ভালোবাসা দেয়।
কিন্তু তাদের বন্ধুত্বকে অশিক্ষিত মানুষরা অপরাধ হিসেবে দেখে। রহমতকে মিনির অপহরণের দায়ে অভিযুক্ত করা হয় এবং তাকে জেলে পাঠানো হয়। অনেক বছর পর জেল থেকে বেরিয়ে রহমত মিনির খোঁজ করতে আসে। কিন্তু মিনি তখন একজন বিবাহযোগ্য তরুণী। সে রহমতকে ঠিকঠাক মনে করতে পারে না। রহমতের মন ভেঙে যায়। সে তার মেয়েকে দেখতে পাহাড়ের দেশে চলে যায়।
চলচ্চিত্রটি একটি সামাজিক বার্তাও দেয়। এটি দেখায় যে অশিক্ষা এবং কুসংস্কার মানুষের জীবনকে কীভাবে নষ্ট করতে পারে। চলচ্চিত্রের অভিনয় প্রশংসনীয়। মিঠুন চক্রবর্তী রহমত চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তার অভিনয়ে গভীর আবেগ এবং ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। সৃজয়ন্তী মণ্ডলও মিনি চরিত্রে ভালো অভিনয় করেছেন।
চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও ভালো। সুমন ঘোষ এমন দু-তিনটি ছোট চরিত্র এনেছেন যাঁদের ক্ষণিক উপস্থিতি সিনেম্যাটিক্যালি বেশ কয়েকটি সুন্দর মুহূর্ত তৈরি করেছে। সামগ্রিকভাবে, ২০২৩ সালের কাবুলিওয়ালা চলচ্চিত্রটি একটি ভালো গল্পের ভালো উপস্থাপনা। এটি একটি মানবিক এবং মর্মস্পর্শী চলচ্চিত্র।