Lok Sabha Election 2024 : তীব্র দাবদাহে হুডখোলা গাড়িতে চেপে প্রচার রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থীর
Lok Sabha Election 2024: Ranaghat BJP candidate campaigning in hooded car in intense heat

The Truth Of Bengal : নদিয়া, মাধব দেবনাথ : এবার একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে গরমের দাবদাহ। প্রতিদিনই ৪১ কখনো ৪২ কখনো ৪৩ এইভাবেই রেকর্ড পরিমাণে তাপপ্রবাহ চলছে গোটা নদীয়া জেলা জুড়ে। আজ আরো এক ডিগ্রি বেড়ে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নদীয়ার তাপমাত্রা। সকাল থেকেই কাঠফাটা রোদ্দুর, তীব্র তাপপ্রবাহ, সাধারণ মানুষ রাস্তাই বের হতেই পারছেন না, কিন্তু নির্বাচনের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে ততই প্রচারের ব্যস্ততা বাড়ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের। মঙ্গলবার সকাল থেকে নদীয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে একদিকে যেমন প্রচার অভিযান করছেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়।
অন্যদিকে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার একইভাবে কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী ভোট প্রচার শুরু করেছেন। মঙ্গলবার নদীয়ার চাকদহ বিধানসভা এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় হুট খোলা গাড়িতে করে তিনি নির্বাচনী প্রচার করেন, সাথে রয়েছেন কয়েকশ কর্মী সমর্থক। যদিও কাঠফাটা রোদ্দুরের মধ্যেও মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রচারে ব্যস্ত কর্মী-সমর্থকরা। রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ, আর হুটখোলা গাড়ির উপর থেকেই সেই দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের আশীর্বাদ নিচ্ছেন প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। নির্বাচনী ভোট প্রচারের মধ্যে দিয়ে জগন্নাথ সরকার বলেন, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র তার নিজের গড়, অর্থাৎ গত নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে এই কেন্দ্রে জয়যুক্ত হয়েছিলেন, তাও খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে, মাত্র ১৪ দিনের ভোট প্রচারে তিনি দু লক্ষ্যর বেশি ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। তিনি আশাবাদী রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র মানে মতুয়া অধ্যুষিত, অর্থাৎ মতুয়াদের গড়, আর এখানে বিজেপিকে কোনভাবেই হারাতে পারবে না তৃণমূল, এবার চার লক্ষর বেশি ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা বলে দাবি করছেন জগন্নাথ সরকার।
তবে জগন্নাথ সরকার যায় দাবি করুক না কেন মাত্র এক মাস যাইনি বিজেপির ঘরের ছেলে মুকুটমণি অধিকারী দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করে। এরপর এই লোকসভায় মুকুটমনি অধিকারীর উপর ভরসা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জগন্নাথ সরকার ও মুকুটমনি অধিকারী এই দুই প্রার্থীকে নিয়ে রীতিমতো সরগরম নদীয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র। যতই তীব্র গরম থাক আর যতই ক্লান্তি আসুক ভোট প্রচারে খামতি নেই এই দুই প্রার্থীর। একদিকে মুকুটমনি অধিকারী দাবি করছেন। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তিনি এই কেন্দ্রে কোনো কাজই করেননি। তিনি তার সংসার তহবিলের টাকা ব্যয় করেছেন নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে।
মানুষ আর জগন্নাথ সরকারের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না, তাই এই নির্বাচনে তৃণমূলকেই ভরসা এই লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের। তবে এটা বলাই বাহুল্য মুকুটমণি অধিকারী তিনি বরাবরই মতুয়াদের পাশে থেকে কাজ করেছেন, এমনটাই দাবি তার। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনের আগে সিএ এ লাঘু করেছে। তৃণমূলের দাবি এই আওতায় নাম লিখালে আপনারা বাংলাদেশী হয়ে যাবেন। বিজেপির দাবি, নাগরিকত্ব দেয়ার জন্যই এই আইন লাগু করা হয়েছে। তবে শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা এই লোকসভা কেন্দ্রে শেষ আসি হাসবে, কে দখল করবে সিংহাসন।