অর্থের অভাবে পড়াশুনা করাতে পারেনি বাবা, নিজের ব্যবসা করে আজ ৬০০ জন মহিলার অন্ন যোগাচ্ছেন মঞ্জু
Father could not study due to lack of money, today Manju is providing food for 600 women with his own business.

The Truth Of Bengal: কথায় বলে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রমও দেখা যায়। মনে ছিল অদম্য ইচ্ছা শক্তি কিন্তু পকেট ছিল খালি। তাই পড়াশোনা করার ইচ্ছে থাকলেও পড়াশোনা করাতে পারেননি বাবা। এরপর মেয়ের খরচ চালাতে না পেরে বিবাহযোগ্য মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন বাবা। বিবাহের ৪০ বছর পর নিপুন হাতে ঠাকুরের মালা, সাজ ও বিয়ের টোপর বানিয়ে নিজের পরিবারের পাশাপাশি চাই ৬০০ জন মহিলার মুখে অন্য জোগাচ্ছেন ৬৫ বছর বয়সের ওই মহিলা। কার কথা বলছি বলুনতো?
না না তিনি কোনো সেলিব্রিটি নয়। তিনি আর পাঁচটা খেটে খাওয়ার সাধারণ মেয়ের মতোই এক গরীব বাড়ির মেয়ে। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা পৌরসভার অন্তর্গত বারুইপাড়ার নিবাসী মঞ্জু পাল। ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল অন্য কারুর পরিচয় নয়, নিজের পরিচয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচার। হ্যাঁ ছোট থেকে হয়তো অর্থের অভাবে পড়াশোনা করে উঠতে পারেননি, কিন্তু বিয়ের পর নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য সংসারধর্ম পালনের পাশাপাশি তিনি নিজের নিপুণ হাতের তৈরি ঠাকুরের মালা, ঠাকুরের চাঁদ মালা, বিবাহের টোপর, বিভিন্ন সাজ বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। প্রমাণ করে দেখিয়েছেন মেয়েরা অবলা নয় মেয়েরা চাইলে সব করতে পারে।
নিজে স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি মঞ্জু এখন প্রায় ৬০০ জন মহিলার মুখে অন্য জোগাচ্ছেন। শুধু মহিলারাই নয় বর্তমানে মঞ্জু এখন দুইজন ছেলেকেও তাঁর ব্যবসায় নিযুক্ত করেছেন। একপ্রকার রমরমে নিয়ে চলছে মঞ্জুর ব্যবসা। মঞ্জুর স্বনির্ভর হওয়ার সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত তার পরিবার সহ গোটা জেলা। সবাই অত্যন্ত গর্বিত মঞ্জুর এহেন সাফল্যে।