সম্পাদকীয়

ইন্দো-আমেরিকা সম্পর্কে কি ফারাক আনবে?ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় ইনিংস

Will the Indo-US relationship make a difference? Donald Trump's second innings

Truth of Bengal, বিপ্লব চৌধুরী: দ্বিতীয় বারের জন্য রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প বসতে চলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সিংহাসনে। ডেমোক্রাট দলের কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এতে ভারতের লাভ না ক্ষতি হল, তা রয়েছে আগামী দিনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া ভবিষ্যতের সিদ্ধান্তের ওপর। যদিও ডোনাল্ডের জয়ের খবর আসতেই ভারতের শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসেও পূর্বের মতোই ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ককে শক্তিশালী করাতে বিশেষ মনোযোগী হবেন। কোয়াড কর্মসূচি জোর পাবে এর ফলে।

এছাড়াও যদি ট্রাম্প চিনের কোম্পানিগুলির ওপরে অতিরিক্ত কর চাপান ও চিনা দ্রব্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধি করলে সেক্ষেত্রে ভারতীয় উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলি আমেরিকার মার্কেটে ভাল ব্যবসা করতে পারবে। যেমন অটোপার্টস, সোলার, এবং কেমিক্যাল সংস্থাগুলোর রফতানি বাণিজ্য বাড়তে পারে এমন আশা করা যায়। এছাড়াও ট্রাম্প সরকারের প্রো-ফসিল পলিসির জন্য ভারতীয় তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি বিশেষ সুবিধা পেতে পারে।

কিন্তু আশঙ্কার মেঘ থেকেই যাচ্ছে কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট ও মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ নীতির জন্য। বিশেষত ভারতীয়দের এইচ-১বি ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্প তাঁর প্রথমবারের শাসনকালেই যোগ্যতার মাপকাঠি সঙ্কুচিত করে এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামকে সীমিত করার প্রচেষ্টা করেছিলেন। এ বিষয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ হয়তো নেবে আগামী দিনে ট্রাম্পের সরকার। যাতে আমেরিকান কর্মচারীদের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ থাকে, সেক্ষেত্রে ভারতীয়দের জন্য প্রদত্ত এইচ-১বি ভিসার সংখ্যা কমাতে পারেন।

যার ফলে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তিতে যুক্ত কর্মীদের প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা। এছাড়াও পণ্য আমদানিতে হ্রাস টানতে পারেন সেখানেও ভারতীয় কোম্পানির রফতানি বাণিজ্যে কতটা প্রভাব পড়ে সেটাও উৎকণ্ঠার বিষয়। এদিকে আমেরিকার সঙ্গে রফতানি বাণিজ্যে ভারত ট্রেড সারপ্লাসে আছে। ট্রাম্পের ২.০ অধ্যায়ে এই বিষয়টিও চুলচেরা বিশ্লেষণের মধ্যে আসতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অনেক আশা করছেন, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। তবে সেক্ষেত্রে ভারত-চিন সম্পর্কে আমেরিকার কতটা নাক গলানো ভারত বরদাস্ত করবে? ডোনাল্ড ট্রাম্পের খামখেয়ালি মনোভাব সর্বজনবিদিত। তাই সেক্ষেত্রে সঠিক চিত্র বুঝতে ভারত সরকার ও ভারতীয়দের আরও অপেক্ষা করতে হবে কিছুদিন।

Related Articles