
Truth Of Bengal: সংবিধান প্রণেতা ডঃ বিআর আম্বেদকর সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে মন্তব্য করেছিলেন, তা তাঁকে অপমানের শামিল। শাহের এই মন্তব্যের পর প্রথম থেকেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে সরব হন দলের সাংসদরা। দিল্লিতে শুরু হওয়া সেই প্রতিবাদ চলে আসে রাজ্যে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সোমবার গোটা রাজ্যজুড়ে পথে নামেন দলের নেতা-কর্মীরা। সমস্ত ব্লকে ব্লকে এবং শহরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ধিক্কার মিছিল আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ জানানো হয়।
ধিক্কার মিছিল থেকে অমিত শাহের বক্তব্যের নিন্দা করা হয়। দাবি ওঠে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগেরও দাবি করা হয়। শাহের মন্তব্য ইস্যুতে সাম্প্রতিক কালে গোটা রাজ্যে একযোগে পথে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। এই সুযোগে ফের একবার দেখা রাজ্যের শাসক দলের সংগঠনের শক্তি। উত্তরের কালিম্পং থেকে দক্ষিণের কাকদ্বীপ, পশ্চিমের বর্ধমান থেকে পূর্বের বনগাঁ রাজ্যের সব প্রান্তের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা এক সঙ্গে মাঠে নামেন। কোনও ভোটপ্রচার নয়, এমন একটা ইস্যুতে তৃণমূল কর্মীরা মাঠে নেমেছিলেন যেটা দিল্লির বিষয় হলেও এর সঙ্গে দেশের মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে।
প্রায় সব বিরোধী দল এই ইস্যুতে প্রতিবাদ চালাচ্ছে। তবে সবাইকে ছাপিয়ে তৃণমূল যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করল, তাতে বলা যায় এই বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে শুধু এই রাজ্য নয় দেশের মধ্যে অগ্রগণ্য রাজনৈতিক দল। কারণ এত বড় আকারে অন্য কোনও দল আম্বেদকর ইস্যুতে পথে নামেনি। তাঁদের প্রতিবাদ একটা গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সেখানে দিল্লি থেকে শুরু করা আন্দোলন রাজ্যে এনে গোটা বাংলায় ছড়িয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। নানা ইস্যুতে কেন্দ্রের শাসক দলকে চাপে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার আম্বেদকর সম্পর্কে অমিত শাহ যে মন্তব্য করেছেন, তাতে চাপ আর বাড়িয়ে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। এই চাপ যে বজায় থাকবে তা বুঝিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি কী ভাবে সেই চাপ সামলায় সেটাই দেখার।