সম্পাদকীয়

জঙ্গি মোকাবিলায় একযোগে পদক্ষেপ নিতে হবে বিশ্বকে

The world must take joint action to combat terrorism

Truth Of Bengal: সন্ত্রাসের কোন ধর্ম হয় না। সন্ত্রাসবাদীরা কারও বন্ধু হয় না। আমেরিকা, ইউরোপ থেকে ভারত উপমহাদেশ- বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ বড় জঙ্গি হামলা ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে। পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে জঙ্গিদের বুলেটে ঝাঁঝরা হয়েছে নিরীহ পর্যটকদের শরীর। আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা ঘটেছিল ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের।

আল-কায়েদা জঙ্গিগোষ্ঠী নিউ ইয়র্ক সিটি এবং ভার্জিনিয়ার ওপর একযোগে হামলা চালিয়েছিল। নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ওপর হামলার ঘটনা গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। হামলায় তিন হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্সে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল প্যারিসে ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বরের হামলা।

ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা প্যারিসের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। ১৩০ জন নিহত হয়েছিলেন এবং প্রায় ৫০০ মানুষ আহত হন। চিনে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলাটি ঘটেছিল ১৯৯৯ সালের উরুমকি বোমা হামলা। এই হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছিলেন। এই হামলার পেছনে ছিল ‘ইস্টার্ন তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট’। পাকিস্তানের মসজিদে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় ২০২৩ সালে।

পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। অর্থাৎ বিশ্বজুড়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। জঙ্গিদের মদতদাতারাও হামলা থেকে ছাড় পায়নি। যে পাকিস্তান ভারতের মাটিতে জঙ্গি হামলায় লাগাতার মদত দিয়ে চলেছে সেই দেশই বারবার কেঁপে ওঠে জঙ্গিদের আক্রমণ। জঙ্গিদের হামলা থেকে বাদ যায় না মসজিদও। শুধু পাকিস্তান নয়, আফগানিস্তানেও জঙ্গি হামলা থেকে রক্ষা পায় না মসজিদ।

ভারতে কখনও মন্দিরের ওপর হামলা, ইউরোপে চার্চে, আবার পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে মসজিদে। অর্থাৎ ধর্ম মানে না জঙ্গিরা। দেশ বিচার করে না জঙ্গিরা। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ আমেরিকা বা চিন-ও এই জঙ্গিদের হাত থেকে রক্ষা পায় না। জঙ্গিদের হাত থেকে রক্ষা পায় না ধনী বা গরীব কোন দেশ। যারা মদত দেয় তারাও জঙ্গি আক্রমণের শিকার হয়। আর তাই গোটা বিশ্বকে এক হতে হবে জঙ্গি মোকাবিলায়। গোটা বিশ্বকে বুঝতে হবে আজ যদি ভারতে হয় কাল ফিরে আসবে নিজের দেশে। তাই মদত নয়, জঙ্গি মোকাবিলায় বিশ্বকে একযোগে পদক্ষেপ নিতে হবে।

Related Articles