সম্পাদকীয়

বিরোধী চক্রান্তের জাল ছিঁড়তে চোখ-কান খোলা রেখেছে প্রশাসন

The administration is keeping its eyes and ears open to unravel the web of opposition conspiracies.

Truth Of Bengal: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখেছে সুপ্রিমকোর্ট। সুপ্রিম-রায়ে চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কথা দিয়েছেন একজন যোগ্য ব্যক্তিরও চাকরি যাবে না। তাদের নিশ্চিন্ত থাকতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুপ্রিমকোর্টে আইনি লড়াই থেকে যাবতীয় বন্দোবস্ত করছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৎপর নবান্ন। যখন সরকার তাদের পাশে রয়েছে তার পরেও দেখা যায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অন্ধ বিরোধিতা।

চাকরি বাতিল ইস্যুকে সামনে রেখে রাজনৈতিক জমি দখলের চেষ্টা। চাকরিহারাদের একাংশকে সামনে রেখে বাংলায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। কসবা ডিআই অফিসের সামনে হুলুস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিছু সংবাদমাধ্যম পুলিশের লাঠিচার্জ বা লাথি মারার ছবি ফলাও করে দেখালেও আসল সত্যি প্রকাশ হতে সময় লাগেনি। কিভাবে পুলিশের কলার চেপে গলা ধাক্কা দিয়ে হামলা চালানো হয়, আন্দোলনকারীদের একাংশ ও বহিরাগতরা পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই ছবি সামনে আসে। তাদের আক্রমণে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হন।

বাধ্য হয়ে পুলিশকে তা মোকাবিলা করতে হয়েছিল। এই তথাও উঠে এসেছে, চাকরিহারাদের ওই আন্দোলনের মধ্যে বহিরাগতরা অনুপ্রবেশ করেছিল। মূলত তারাই রণংদেহি হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। বহিরাগতদের সেই দাপাদাপির ছবি প্রকাশ করেছে লালবাজার। পুলিশের ওপর হামলার মুহূর্তের বিভিন্ন ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। কেন এই বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর চেষ্টা? এর পিছনে কাদের মদত রয়েছে? প্রশ্নগুলো সামনে আসবেই। এই কঠিন পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যোগ্য চাকরিহারা পরিবার গুলোর মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের দুর্দশা কাটানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করছেন তখন সবকিছুর তালগোল পাকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।

তাঁদের যন্ত্রণাকে পুঁজি করে বাংলাকে রসাতলে পাঠানোর চেষ্টা। আর তা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা। তবে গোটা পরিস্থিতিতে সতর্ক রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু চাকরিহারাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। আইন মেনে যোগ্য ও অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করার কথা বলেছেন। যোগ্য চাকরিহারাদের কথা শুনেছেন। তবে ‘বাম-বিজেপি’র সেই নেতারা এই সুযোগে কিভাবে রাজ্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলা যায় সেই চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না। ঠিক যেমনভাবে আরজি করের ঘটনা বা সন্দেশখালির ঘটনার ক্ষেত্রে করতে চেয়েছিল। প্রশাসন কঠোর হাতে তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়। এক্ষেত্রেও প্রশাসন বিরোধীচক্রান্তের জাল ছিঁড়তে সতর্ক। কোনভাবে বিরোধীরা যাতে বাংলাকে অশান্ত করতে না পারে তার জন্য চোখ-কান খোলা রেখেছে প্রশাসন। রাজ্য প্রশাসনের প্রতিটি পদক্ষেপ তা জানান দিচ্ছে।

Related Articles