সম্পাদকীয়

উপক্ষিত, অবহেলিত থেকে বিস্মৃতপ্রায়! বঙ্গবালা স্বাধীনতা সংগ্রামী ননীবালা

From neglected, neglected to almost forgotten, Bangabala freedom fighter Nanibala

নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস: আমরা আজ ব্রিটিশের অপশাসনের শোষণমুক্ত স্বাধীন দেশের নাগরিক। একুশ শতকের আধুনিক সভ্যতার সভ্য মানুষ। তবুও ভেবে দেখার অবকাশ পাইনি, পরাধীনতায় অভ্যস্ত মানুষ, স্বাধীনতার মর্ম কতটুকু উপলব্ধি করছি। যাঁদের রক্তঝরা আত্মত্যাগের সংগ্রামে যতটুকু স্বাধীনতা পেয়েছি, তাঁদের কেউ বেঁচে আছেন কিনা, থাকলে কোথায় কেমন, কী অবস্থায় আছেন খোঁজ নিইনি।

সংগ্রামী পুরুষদের সঙ্গে নারী বিপ্লবীদের কতখানি আত্মত্যাগ, লাঞ্ছিতা অপমানিতা, নারীত্ব খুইয়েও সংগ্রাম থেকে তাঁরা কখনও বিচ্যুত হননি। এত সত্ত্বেও ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাসে তাঁদের সবার স্থান হয়নি। এমনই এক বীরাঙ্গনা বিপ্লবী বঙ্গবালা শেষ জীবনেও স্বাধীন বাংলায় উপক্ষিত অবহেলিত থেকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সঙ্গে নারীদেরও অবদান সমান। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত, উজ্জ্বলা মজুমদার ও বীণা দাসদের মধ্যে অন্যতমা ছিলেন বঙ্গবালা ননীবালাদেবী। জন্মেছিলেন ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে হাওড়া জেলার বালির দক্ষিণাঞ্চলে। পিতা সূর্যকান্ত ব্যানার্জি, মাতা ছিলেন গৃহবধূ গিরিবালাদেবী। তখনকার দিনের প্রথায় ননীবালার বিবাহ হয়েছিল মাত্র এগারো বছর বয়সে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে। ক্ষণস্থায়ী বিবাহিত জীবন। দাম্পত্য জীবনের স্বাদ না পেতেই ষোল বছর বয়সে ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ননীবালাদেবী স্বামীহারা হন। শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই হয় না।

বাধ্য হয়ে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসেন। বাল্য বিধবা ননীবালার বাবা-মায়ের ঘরেও শান্তি মেলেনি। এখানে এসে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে লেখাপড়া শিখতে খ্রিশ্চান মিশনারি স্কুলে ভর্তি হলেও একই কারণে তাঁকে স্কুল ছাড়তে হয়। নানান গঞ্জনা সহ্য করে অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে শেষ পর্যন্ত আড়িয়াদহের রামকৃষ্ণ আশ্রমে চলে আসেন। সেখানে থাকতে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে যুগান্তর দলের বিপ্লবীদের সঙ্গে আলাপ হয়। স্বাধীনতা আন্দোলনে শামিল হলে জীবনে অনেক অসহনীয় দুঃখ কষ্ট নেমে আসবে। সব জেনেও তিনি সাহসী পদক্ষেপ করেন।

বাংলা তথা সমগ্র ভারতবর্ষের দুর্দশার কথা ভেবে তিনি যুগান্তর দলের সদস্য হওয়ার কথা জানান। তখন ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। যুগান্তর দলের বিপ্লবীরা বসে না থেকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে জার্মান থেকে অস্ত্র আমদানি করে সমগ্র ভারতবর্ষে ছড়িয়ে দিয়ে বিপ্লবের পথ প্রশস্ত করতে থাকেন। সুচতুর ইংরেজ সরকার ভারত-জার্মান ষড়যন্ত্রের কথা জেনে যায়। ওদিকে যতীন্দ্রনাথ মুখার্জি যাকে আমরা বাঘা যতীন নামে চিনি, তিনি বালেশ্বরের খণ্ডযুদ্ধে প্রাণ হারান। স্বাধীনতা আন্দোলন থমকে দাঁড়ায়। কিছুদিন পরে যদুগোপাল মুখার্জির নেতৃত্বে আন্দোলন নতুন করে সংগঠিত হতে থাকে।

সংবাদ পেয়ে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। শুরু হয় ধরপাকড়, ফাঁসি, দ্বীপান্তর ও অমানবিক অত্যাচার। মলদ্বারে কাঠের রুল ঢোকানো, মলমূত্র মাথায় ঢালা এমন আরও অনেক অত্যাচার। এমনই নিষ্ঠুরতার পরিস্থিতিতে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবী অমরেন্দ্র চ্যাটার্জির কাছে ননীবালা বিপ্লবে দীক্ষা নেন। অমরেন্দ্র চ্যটার্জি সম্পর্কে ননীবালার ভ্রাতুষ্পুত্র। দীক্ষার পর ননীবালার ওপর দায়িত্ব পড়ে পলাতক অমরেন্দ্র চ্যাটার্জি ও তার বিপ্লবী সহকর্মীদের আশ্রয় দেওয়া। তখনকার দিনে পুলিশি অত্যাচারের আশঙ্কায় মহিলা বিহীন পুরুষদের কেউ বাড়ি ভাড়া দিতেন না। তাই ননীবালাদেবী গৃহকর্ত্রী সেজে রিষড়ার ভাড়া বাড়িতে তাঁদের নিয়ে বসবাস করতে থাকেন।

দু’মাস স্বস্তিতে থাকার পর পুলিশ টের পেয়ে সেখানে হানা দেয়। অমরেন্দ্র চ্যাটার্জি পালাতে সক্ষম হলেও গ্রেফতার হন রামবাবু মজুমদার। তাঁর মাউজার পিস্তলটি কোথায় রাখা আছে জানাতে পারেননি। সেই সময় একটি মাউজার পিস্তল বিপ্লবীদের জীবনের থেকেও বেশি দামি। উদ্ধারের দায়িত্ব ননীবালাদেবীর কাঁধে পড়ে। ভাবতে গা শিউরে ওঠে। কতখানি ঝুঁকি নিয়ে বিধবা ননীবালাদেবী সেদিন হাতে শাঁখা, রঙিন শাড়ি পরে টকটকে লাল সিঁদুরে সিঁথি রাঙিয়ে রামবাবুর স্ত্রীর বেশে সোজা জেলে পৌঁছে সাক্ষাৎ নিয়ে পিস্তলের হদিশ এনে দুঃসাহসিকতা পরিচয় দেন। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে কলিকাতা শ্রমজীবী নামের একটি প্রতিষ্ঠানে পুলিশ তল্লাশি চালায়। বিপদের আঁচ পেতেই ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে বিপ্লবীরা রিষড়ার বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেন।

তারপর তাঁরা চন্দননগরে একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠেন। এখানেও রিষড়ার মতো মহিলা ছাড়া বাড়ি ভাড়া কেউ দেয় না। সেখানেও ননীবালাদেবী পিসিমার পরিচয়ে তাঁদের আশ্রয় দেন। এখানে তাঁর আশ্রিত যদুগোপাল মুখার্জি, অমর চ্যাটার্জি, অতুল ঘোষ, নলিনীকান্ত কর, ভোলানাথ চ্যাটার্জি, বিনয় ভূষণ চক্রবর্তী ও বিনয় দত্ত। এদের সবার মাথায় ছিল হাজার হাজার টাকার হুলিয়া। সারাদিন ঘরে আবদ্ধ থেকে সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনালে আপন কর্মে বেরিয়ে পড়েন।

পুলিশের গন্ধ পেলেই নিমেষে অদৃশ্য হয়ে যান। কিন্তু দীর্ঘদিন এস্থানও নিরাপদ রইল না। চন্দননগরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের তল্লাশি শুরুতেই বিপ্লবীরা চন্দননগর পরিত্যাগ করেন। ভাবেন একা ননীবালার পক্ষে স্থানটি নিরাপদ নয়। কারণ পুলিশ জেনে গেছে ননীবালা রামবাবুর স্ত্রী নন। পুলিশ তখন তাঁকে গ্রেফতার করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। সুচতুর ননীবালাও অতি সন্তর্পণে চন্দননগর ছাড়েন। পিতা সূর্যকান্ত ব্যানার্জিকে ব্রিটিশের পুলিশ তুলে এনে টানা পাঁচঘণ্টা জেরা করে।

অপরদিকে ননীবালার বাল্যবন্ধুর দাদা প্রবোধ মিত্র কর্মসূত্রে পেশোয়ার যাচ্ছেন। বাল্যবন্ধুর বিশেষ অনুরোধে প্রবোধবাবু ননীবালাকে সঙ্গে নেন। মাঝপথে ননীবালাদেবী কাশীর এক আশ্রমে নামেন। সেখানে সপ্তাহ দুয়েক থাকার পর বালির জানাশোনা একজনের সঙ্গে দেখা হয়। সেই লোকটি খবর দিলে পুলিশ আশ্রমে পৌঁছনোর আগেই ননীবালাদেবী আশ্রম ছেড়ে পেশোয়ারের পথে রওনা দেন। ১৪দিন অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ পেশোয়ারের বাড়িতে পৌঁছয়। তখন ননীবালাদেবী কলেরায় অসুস্থ। প্রথমে পুলিশবেষ্টনীতে থাকে বাড়িটি। পরদিন স্ট্রেচার এনে ননীবালাদেবীকে তুলে নিয়ে যায়।

কয়েকদিন নিজেদের হেপাজতে রেখে পাঠিয়ে দেয় কাশীর জেলে। ততদিনে ননীবালাদেবী কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কয়েকদিন পর জেল গেটের অফিসে এনে ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট জিতেন মুখার্জি ননীবালাদেবীকে ক্রমান্বয়ে জেরা করতে থাকেন। ননীবালাদেবী সমস্ত কথা অস্বীকার করে বলেন, ওদের কাউকেও চিনি না। কিচ্ছু জানি না। জিতেন মুখার্জি তুই-তুকারি করে নানাররকম অশালীন অঙ্গভঙ্গি, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অত্যাচার চালাতে থাকেন। তাঁর এই অমানবিক আচরণেও ননীবালাদেবী নিশ্চুপ। শেষে তাঁরই নির্দেশে দুই জমাদারনি তাঁকে নিয়ে আসে একটি আলাদা সেলে।

জোর ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে শরীরের কাপড় খুলে নিয়ে নগ্ন অবস্থায় দু-বাটি কাঁচালঙ্কা বাঁটা সারা দেহে মাখায়। গোপনাঙ্গে লঙ্কাবাঁটা ঢুকিয়ে দেয়। সইতে না পেরে ননীবালা শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে তাঁদের দু’জনকে লাথি মেরে দূরে ছিটকে ফেলে দেন। তারা লাথি খেয়ে ধস্তাধস্তি করেও পেরে ওঠে না। নিয়ে আসে জিতেন মুখার্জির অফিস-ঘরে। শুরু হয় নতুন কায়দায় অত্যাচার। বল তুই কী জানিস? ননীবালার একটাই উত্তর, তোমরা আমাকে একা পেয়ে যা ইচ্ছে করতে পার, আমি কিচ্ছু বলব না। অত্যাচারের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে।

কাশীর কারাগার অতি পুরানো সেকেলে। কারা প্রাচীরের বাইরে মাটির নীচে ছিল একটি পানিশমেন্ট সেল। তার দরজা ছিল মাত্র একটি। বাইরের আলো-বাতাস খেলার মতো জানালা বা কোথাও কোনও ছিদ্র ছিল না। জিতেন মুখার্জি নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে ননীবালাদেবীকে পরপর তিনদিন সেখানে আধঘণ্টা করে ফেলে রাখেন। তাতে ননীবালাদেবী শরীর চুপসে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। শেষের দিন ফেলে রাখেন প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট। এবারে ননীবালাদেবীর শোচনীয় অবস্থা, মৃতপ্রায়। তবুও তিনি পরাস্ত হন না। তাঁর মুখ থেকে একটি কথাও আদায় করতে পারেননি জিতেন মুখার্জি। শেষে হাল ছেড়ে পাঠিয়ে দেন কলিকাতা প্রেসিডেন্সি জেলে। এখানে দেখা হয় জেলবন্দি দুকড়িবালার সঙ্গে।

জেলে বসেই চলে তাঁদের শলা-পরামর্শ। ননীবালাদেবী জেলের খাবার খাওয়া বন্ধ রাখেন। জেল সুপারিন্টেনডেন্ট থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পর্যন্ত কারও অনুরোধেও তিনি খাদ্য গ্রহণ করেন না। শেষে গোয়েন্দা পুলিশের দুঁদে অফিসার, স্পেশাল সুপারিন্টেনডেন্ট গোল্ডি জিজ্ঞেস করেন, বলুন কী করলে আপনি খাবার মুখে তুলবেন। আগে বলুন আমি যা বলব আপনি শুনবেন! গোল্ডি বলেন শুনব। ননীবালাদেবী বলেন, আমাকে বাগবাজারের রামকৃষ্ণদেবের স্ত্রী সারদামণির কাছে রাখলে আমি খাদ্য খাব। গোল্ডি বলেন, সাদা কাগজে দরখাস্ত আকারে লিখে দিন। ননীবালাদেবী তাঁর শর্ত দরখাস্ত আকারে লিখে দিলে গোল্ডি পড়ে ছিঁড়ে কুটিকুটি করে ফেলে দেন।

গোল্ডির এহেন মিথ্যাচার আচরণে অপমানিত ননীবালাদেবী ক্ষিপ্ত, আহত বাঘিনীর মতো লাফিয়ে উঠে গোল্ডির মুখে সজোরে একটি থাপ্পড় বসিয়ে দেন। দ্বিতীয় থাপ্পড় বসানোর আগেই সিআইডি’র কর্মীরা তাঁকে ধরে শান্ত করেন। ১৮১৮ সালের ৩ নম্বর রেগুলেশন ধারায় ননীবালাদেবীকে স্টেটপ্রিজনার সেলে বন্দি রাখে। তিনিই সর্বপ্রথম বাঙালি মহিলা স্টেটপ্রিজনার। দীর্ঘ একুশ দিন পর জেল কর্তৃপক্ষ সমস্ত শর্ত মেনে নিলে অসামান্যা দৃঢ়চেতা বন্দি ননীবালাদেবী অনশন ভাঙেন। দু’বছর জেলবন্দি জীবন কাটিয়ে বঙ্গবালা ননীবালাদেবী কারামুক্ত হন। মুক্ত বিপ্লবী বাইরের আলোবাতাসে এসে একটি দিনের তরেও শান্তির মুখ দেখেননি। পুলিশের অত্যাচারের ভয়ে কেউ তাঁকে আশ্রয় দেয়নি। এমনকী তাঁর হাওড়ার বালির বাবা-মায়ের বাড়িতেও স্থান হয়নি।

পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী যোদ্ধা বিপ্লবীদের আশ্রয়দাত্রী, বঙ্গবালা ননীবালাদেবী জেলমুক্ত, স্বাধীন বাংলার আলো-বাতাসের স্পর্শে এসেও তিনি আশ্রয়হীন। বাড়ির বাইরে সভ্য মানুষের কাছে অপমানিত, অবহেলিতা। বিধবা বিপ্লবীনেত্রীর অবশেষে উত্তর কলকাতার এক বস্তির আধঘুপচি ভাড়াঘরে কাটে শেষ জীবন। চরকায় পৈতে কেটে বাজার বিক্রি, ফুল বিক্রি করে কখনও পরের দ্বারে ঝি খেটে জীবিকা নির্বাহ করেন। স্বাধীন ভারতের পঞ্চাশের দশকে মাত্র পঞ্চাশ টাকা পেনশন পেয়েছিলেন। জীবনের শেষ অধ্যায়ে একবেলা সাত্ত্বিক আহার করে ঠাকুরের পূজাঅর্চনায় নিমগ্ন থেকে সন্ধ্যায় বস্তির ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখাতেন। অবসর পেলে যেতেন শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমে।

স্বাধীন ভারতবর্ষের কুড়ি বছর পর ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের ৩০ তারিখে সব সংগ্রাম শেষ করে ভারতবাসী তথা বঙ্গবাসীর শ্রদ্ধেয় বিপ্লবী ননীবালাদেবী অমৃতলোকে যাত্রা করেন। ভারতবর্ষের ইতিহাস তাঁকে স্থান না দিলেও তিনি রয়েছেন সবার হৃদয়ের অন্তঃস্থলে। থাকবেন আগামী প্রজন্মের অন্তরে চিরউদ্দীপ্ত এক উজ্জ্বল নক্ষত্ররূপে।

Related Articles