নেট প্রতারকদের জব্দ করতে পাঁচ অস্ত্র রাজ্যের
Five weapons for states to seize net fraudsters

Truth Of Bengal: নেট মাধ্যমে ওঁত পেতে আছে প্রতারকরা। একটু ফাঁক পেলেই সব হাতিয়ে নেয় তারা। এখন আবার সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁরা প্রতারণা করছে না। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকাও তারা সিঁদ কেটে নিয়ে নিচ্ছে। যা নিয়ে হইচই হচ্ছে। কত কথা হচ্ছে। আসলে অনেকগুলি ধাপ পার হয়ে তবেই উপভোক্তার কাছে যায় সরকারি প্রকল্পের টাকা। সেখানে কোথাও একটু সুযোগ পেলেই সেই টাকা নিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। লক্ষ লক্ষ উপভোক্তার মধ্যে কয়েক জনের সঙ্গে এমন হলে সেটা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যাচ্ছে।
এবার প্রতারকদের জব্দ করতে নানা অস্ত্র প্রয়োগ করছে সরকার। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এবার পঞ্চায়েত দফতরের তরফ থেকে জেলা প্রশাসনের জন্য পাঁচ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে অর্থ প্রদানের যে গাইড লাইন প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলি হল– ছদ্মবেশ বা ক্যামোফ্লেজ করে প্রতারণা। এক্ষেত্রে সরকারি দফতরের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণা। বিশেষ করে ব্লক স্তরে বিডিও অফিস থেকে এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা বেশি। নকল অজুহাত-
উপভোক্তাকে ফোন করে বা মেসেজ পাঠিয়ে নির্দিষ্ট প্রকল্পের অনুদান অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়ে মোবাইল নম্বরটি সঠিক উপভোক্তার কিনা তা ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ওটিপি উপভোক্তার মোবাইলে পাঠানো হয়। দ্রুততা ও বিশ্বস্ততা প্রতারকরা উপভোক্তার কাছে দ্রুত তাদের প্রাপ্য টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য তৎপরতা দেখায়। কারণ সে ক্ষেত্রে তারা উপভোক্তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুত তাদের আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অছিলায় তারা উপভোক্তার থেকে প্রয়োজনীয় ওটিপি আদায় করে। ওটিপি সংগ্রহ– প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে এবং তাদের বিশ্বাসভাজন মনে করে উপভোক্তা তাঁর মোবাইলে আসা ওটিপি প্রতারকের সঙ্গে শেয়ার করেন। এই গাইড লাইনগুলি মেনে চললে নেট মাধ্যমের প্রতারকরা আর কিছুই করতে পারবে না। প্রতারকদের জব্দ করার জন্য অনলাইনে এবার আরও বর্ম পরালো সরকার।