সম্পাদকীয়

অঘটনের পেছনে কি মানুষের দায় নেই?

Aren't humans responsible for accidents?

Truth Of Bengal: কলকাতার অনেক জায়গায় জতুগৃহ হয়ে আছে। আর সেই কারণে সেই সব জায়গায় মাঝে মধ্যে আগুন লাগে। বিশেষ করে বড়বাজার এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে বেশি। সদ্য মেছুয়ায় ঘটে গিয়েছে তেমনই একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। যেখানে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। একটি হোটেলে এই ঘটনা ঘটে।

মেছুয়ার হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে নানা গাফিলতি সামনে আসছে। এলাকা পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন কোনও বেনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। দিঘা সফর শেষ করে শহরে ফিরে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যান মেছুয়ায়। দিঘা সফরে থাকার সময় সেখানে থেকে ঘটনার নিরন্তর খোঁজ নিতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাস্থলে থাকা মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নানা নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার সেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এলাকায় অনেক দিনের পুরনো এমন অনেকগুলি বাড়ি আছে। যা বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত। সেই সব বাড়িগুলিতে অনেক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন। তাঁদের জন্য উদ্বেগপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পুরসভাকে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। জানিয়েছেন, এমন কোনও বিল্ডিং এর অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যা দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।

এই আগুন নেভানোর জন্য দমকল বাহিনীর কর্মীরা খুবই লড়াই করেছেন। তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন। যে দুই-তিনটে ঘরের দরজা বন্ধ ছিল তা ভাঙার চেষ্টা করেও পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা থাকা উচিত। কিন্তু যারা সেই বিকল্প ব্যবস্থা রাখেন না তাদের কি ক্ষমা করা উচিত? কোথাও কোথাও আমি ভীষণ রাফ। এ ব্যাপারে আমি রাফ অ্যান্ড টাফ। আপনারা না শুনলে প্রশাসন পদক্ষেপ করবে। ব্যবস্থা নেবে। কবে।

১৫ দিনের মধ্যে বিপজ্জনক বাড়িগুলি থেকে না সরে আসলে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে সেই বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। তারপরও মানুষ কেন এই ভাবে বিপজ্জনক বাড়িতে থাকবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে? কোনও ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকে দায়ী করা হয়। কিন্তু, একবারও মানুষের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় না।

Related Articles