সম্পাদকীয়

নরকযন্ত্রণা থেকে কি মুক্তি নেই মণিপুরবাসীর?

Are the people of Manipur not free from the torment of hell?

Truth Of Bengal: কবে শান্ত হবে মণিপুর। কবে আবার মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেবে? কোনও উত্তর নেই পাহাড়ি রাজ্যটির মানুষের কাছে। ফলে চরম উৎকন্ঠা নিয়ে ভয়ের পরিবেশে তাঁদের জীবনযাপন করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও কেন্দ্রের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হলেও কিছুতেই কোনও কাজ হচ্ছে না। সেই যে আগের বছর মে মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছিল মণিপুর, তারপর থেকে রাজ্য থেকে আইনের শাসন কার্যত উঠে গিয়েছে।

চলতে থাকা হিংসায় এখনও মোট দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু ঘরবাড়ি। রাজ্যকে শান্ত করতে সেনা নামানো হয়েছিল। তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। গত কয়েক মাসে আবারও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মণিপুরের একাধিক এলাকা। ড্রোন নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগও ওঠে। কিছুদিন শান্ত থাকার পর আবারও নতুন করে উত্তপ্ত হল মণিপুর। কয়েকদিন আগে তিন সন্তানের মা-কে ধর্ষণের পর স্বামীর সামনেই পুড়িয়ে মারা হয়। যা নিয়ে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটি।

অভিযোগ, সশস্ত্র হামলাকারীরা গ্রামে ঢুকে লুটপাট চালায়। নির্বিচারে গুলি চালায়। অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ১৭টি বাড়ি। মণিপুরের জিরিবাম জেলার জাইরন গ্রামের ঘটনা। নিহত মহিলার স্বামীর দাবি, ধর্ষণে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। পুলিশ মনে করছে, হামলাকারীরা স্থানীয় বাসিন্দা। তবে এখনও পর্যন্ত সেই দুষ্কৃতীদের পরিচয় সামনে আসেনি। কারা এই কাণ্ড করল তা এখনও জানতে পারেনি রাজ্য প্রশাসন। ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার মানুষ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা।

মণিপুরকে শান্ত করতে কেন্দ্র উদাসীন বলে বারবার অভিযোগ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কেন সেখানে কেন্দ্রের মন্ত্রীরা সফর করেননি, এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সেখানে রাহুল গান্ধি-সহ, তৃণমূলের একাধিক সাংসদ গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন। বারবার কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে। তা সত্ত্বেও শান্ত হচ্ছে না মণিপুর। যে নরকযন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে রাজ্যের মানুষকে, তা অবর্ণনীয়। প্রশাস্নন যখন কিছুই পারছে না, তখন রাজ্যের মানুষ এখন নিজেদের কার্যত ভ্যগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।

Related Articles