স্বল্প পুঁজিতেই প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করতে পারেন মাশরুমের লাভজনক ব্যবসা, বাজার রয়েছে বিদেশেও
Musroom Business

The Truth of Bengal: মাশরুম বিজনেস 2023। মাশরুম বিজনেস কীভাবে করবেন। মাশরুম ব্যাবসার মার্কেটিং কীভাবে করবেন?
সারা বিশ্বে প্রায় ৩ লক্ষ প্রজাতির ফাঙ্গাস রয়েছে, তার মধ্যে আড়াই লক্ষ প্রজাতির ফাঙ্গাস বা ছত্রাক দেশ বিদেশের নানা জনজাতির মানুষ খেয়ে থাকেন। এটা একটি সুস্বাদু খাবার। আনুমানিক ১০ হাজার প্রজাতির মাশরুমের ওপর গবেষণা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। এদের ভেতরে মাত্র ১০ প্রজাতির মাশরুম খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।বর্তমানে ভারতের বাজারে এমনকী আন্তর্জাতিক বাজারেও বেশ কয়েক প্রজাতির মাশরুমের ভালো বাজার রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ঋষি মাশরুম, গুটি বা বাটন মাশরুম, মিল্ক হোয়াইট মাশরুম, ওয়েস্টার মাশরুম, স্ট্র মাশরুম। এগুলি ব্যাপক পরিমাণে চাষ করা হচ্ছে। আর এই মাশরুম চাষ লাভজনক হওয়ায় এই ব্যবসায় অনেকেই ঝুঁকছেন এবং এর বাজারে ভালো চাহিদাও রয়েছে। ক্ষুদ্র বা বড় ভাবেও মাশরুম চাষ করা যায়। স্পূন থেকে মাশরুম চাষ করা হয়। এই স্পূনগুলো ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়ে থাকে।
মাশরুম চাষ করতে কী করতে হবে?
মাশরুম চাষের ব্যবসা করতে গেলে সবার আগে একটি সুপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর নিজের কাছে স্পষ্ট করে নিতে হবে। ঠিকঠাক ভাবে কাজ পরিচালনা করতে গেলে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরি। কিছু ব্যক্তি মিলে যদি এই ব্যাবসা করা যায়, তাহলে দ্রুত সাফল্য মেলে। ঘরে বসেই, ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে শুরু করা যায় এই ব্যবসা। গ্রাম বা শহরের বেকার যুবকরা পরিকল্পনা করে এই ব্যবসায় পা ফেললে লাভের মুখ দেখতে পারেন। এই ব্যবসায় যুক্ত হতে পারেন বাড়ির মহিলারাও। মাশরুম চাষের জন্য প্রজোয়ন, আলোহীন স্যাঁতসেঁতে একটি পরিবেশ। যদিও নজর রাখতে হবে ঘরের মধ্যে যাতে ঠিকঠাক অক্সিজেন থাকে। শহর বা গ্রামে যে কোনও জায়গাতেই মাশরুম চাষ করা যায়। স্পূনগুলোকে সঠিক জায়গায় রাখতে, ছোট ছোট মাচা ব্যবহার করা যেতে পারে। সেগুলি লোহা, বাঁশ কিংবা কাঠেরও হতে পারে। অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া মাশরুম চাষের অনুকূল নয়। তার জন্য ফ্যান ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি মাশরুম চাষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জলেরও প্রয়োজন। হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে স্পূনগুলোতে নিয়মিত জল দিয়ে স্যাঁতসেঁতে করে দিতে হবে।
মাশরুমের বিপণন কীভাবে করবেন
মাশরুম চাষ শেখা যেমন জরুরি, তেমনই এর মার্কেটিং জানাও জরুরি। ঠিকভাবে বিপণন করতে না পারলে মাশরুম থেকে ভালো লাভ করা যাবে না। তাই বিপণন ব্যবস্থার দিকেও ভালো নজর দিতে হবে। মাশরুম কোথায় কোথায় বিক্রি করা যায়। কোথায় বিক্রি করলে লাভ বেশি এগুলো জানতে হবে। সাধারণত বিভিন্ন হোটেলে মাশরুম বিক্রি করা যায়। এছাড়া বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরেও ভালো মানের মাশরুম সরবরাহ করতে পারলে ভালো বিক্রির সুযোগ আছে। খোলাবাজারেও নিজ উদ্যোগেও মাশরুম বিক্রি করা সম্ভব। সাধারণত বাজারে প্রতিকেজি মাশরুম ১৫০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। যদি কোনও কারণে মাশরুম বিক্রি করা না যায়, তখন সেই মাশরুম শুকিয়ে রাখা সম্ভব। এটাকে ড্রাই মাশরুম বলে। বাজারে ড্রাই মাশরুমের দাম কেজি প্রতি ১,০০০-১,২০০ টাকা। ড্রাই মাশরুম জলে ভেজালেই ফের কাঁচা মাশরুমের মতো হয়ে যায়। বিক্রির অসুবিধা হলে মাশরুম সংরক্ষণ করা সম্ভব। তাই এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।