
The Truth of Bengal: ধুপকাঠি তৈরির ব্যবসা 2023- কীভাবে ভারতে ধুপকাঠি তৈরির ব্যবসা শুরু করবেন | বাংলায় ধুপকাঠি তৈরির বিজনেস আইডিয়া | বাংলায় ধুপকাঠি তৈরির মার্কেটিং প্ল্যান 2023। অনলাইনে ধুপকাঠি কীভাবে বিক্রি করা যাবে। ধুপকাঠি ধার্মিক স্থান থেকে সামাজিক বিভিন্ন কাজকর্মে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতের পাশাপাশি, শ্রীলঙ্কা ও বিদেশে বহু অনাবাসী ভারতীয় ধুপের ব্যবহার করে থাকেন।
ভারতের নানা পুজো-পার্বণে বা অনুষ্ঠানে এর চাহিদা বেশ বেড়ে যায়। ধূপকাঠি বানানোর ব্যবসা এমন একটি কাজ যেটি ছোট করে শুরু করা যায়, ধাপে ধাপে এর প্রসার বাড়ানো যায়।
ধুপকাঠি তৈরির ব্যবসা কীভাবে শুরু করবেন
প্রথমেই বলে রাখা যাক, বহু ব্যবসা যেমন রয়েছে, যার ঝুঁকি রয়েছে, কিন্তু এই ব্যবসায় ঝুঁকি অনেকটাই কম, এবং প্রাথমিকভাবে অত্যন্ত কম টাকা বিনিয়োগ করেই করে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। তবে এই ব্যবসা করতে গেলে কয়েকটি জরুরি বিষয়ে পাকাপোক্ত পরিকল্পনা করা জরুরি। যেমন-
১) ব্যবসা শুরু আগেই একটি বাজেট তৈরি করুন। এবং ব্যবসার ক্ষেত্রগুলিকে ভাগ করে নিন। কোন খাতে কতটা বিনিয়োগ করবেন সেটাও এই প্রাথমিক পরিকল্পনার মধ্যে রাখবেন।
২) যে কোনও ব্যবসা শুরু করতে গেলে, সেই পণ্য সম্পর্কিত বাজারকে সবার আগে জানতে হবে। তাই ব্যবসা শুরু আগে, এই বাজার এবং সাপ্লাই চেনই সম্পর্কিত ধারণা নিয়ে নিন। এই ব্যবসায় যদি কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়, তা সামাল যাতে দেওয়া যায়, তার পরিবেশ পরিস্থিতি আগে থেকে তৈরি করে নিতে হবে।
৩) ধুপের ব্যবসা করার জন্য একটি জায়গা নির্বাচন করুন। এবং সেখানে যাতে ব্যবসা ভালো করে চালানো যায়, তার পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে অগ্রসর হন।
৪) ধুপ তৈরির জন্য বেশ কিছু কাঁচামাল প্রয়োজন হয়। সেই কাঁচামালগুলি সস্তায় কোথায় পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে হবে। ধূপকাঠির প্যাকেজিং এবং বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র কেনা এবং তৈরি করা সম্পর্কে ধারণা আগে থেকেই নিয়ে রাখুন।
কাঁচামাল যেখানে পাবেন
১) কলকাতার বড়বাজারে বহু দোকান রয়েছে, যেখানে ধুপকাঠি তৈরির কাঁচা মাল পাওয়া যায়। এছাড়া অনেক ধূপকাঠি তৈরীর কোম্পানি রয়েছে, যাঁদের কাছে আপনি কাঁচামাল নিয়ে এসে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যেমন কৃষ্ণা গ্রুপ, দুর্গা ইঞ্জিনিয়ারিং, লোকনাথ ধুপকাঠি, ইত্যাদি নামে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে কাঁচামাল তুলতে পারেন।
২) কলকাতা ছাড়াও, আমেদাবাদে এমকে পাঞ্চাল ইন্ডাস্ট্রিজ, অমুল আগারবাত্তি, ওয়ার্কস এন্ড শান্তি এন্টারপ্রাইজের মতো কিছু কোম্পানি রয়েছে যাঁরা ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ধুপকাঠি তৈরির জন্য বিভিন্ন রকমের কাঁচামাল ও সামগ্রি যোগান দিয়ে থাকে।
৩) আপনার বাড়ি বা ব্যবসার স্থান যদি প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকা হয়, এবং কলকাতা থেকে অনেকটা দূরে হয়, তাহলে অনলাইনেও বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যেমন ইন্ডিয়া মার্ট বা আমাজন ডট ইনের মতো সংস্থার মাধ্যমে কাঁচা মাল আনিয়ে নিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অকটু বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে, নয়তো ফ্রড হয়ে যাবে।
ধুপকাঠির ব্যবসার ক্ষেত্রে জায়গার প্রয়োজনীয়তা:
এই ব্যবসা ছোট করে শুরু করতে গেলে, মোটামুটি একশো থেকে দেড়শো স্ক্যায়ার ফিট জায়গাতেই হয়ে যাবে। কিন্তু প্রথম থেকেই যদি পরিকল্পনা থাকে, বড় করে করবেন, তাহলে আপনি ছোট জায়গা থেকে এবং ছোট করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন, কিন্তু আপনি যদি এই ব্যবসাটাকে বড় জায়গায় নিয়ে যেতে চান সে ক্ষেত্রে এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রায় ১০০০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত জায়গার প্রয়োজনীয়তা হতে পারে।
ধূপকাঠি বানাতে কেমন সময় লাগার সম্ভাবনা রয়েছে?
উৎপাদন থেকে প্যাকেজিং পর্যন্ত কতটা সময় লাগবে তা নির্ভর করবে পারে সেটা আপনার এবং আপনার কর্মচারী এবং আপনি ধুপকাঠি প্রস্তুত করার জন্য কোন ধর্মী মেশিন ব্যবহার করছেন তার উপর।
যদি অটোমেটিক মেশিন ব্যবহার করা যায়, তাহলে এক মিনিটে ১৫০ থেকে ২০০ টি ধূপকাঠি আপনি বানাতে পারবেন। আর যদি আপনি ম্যানুয়াল বা হাতে ধুপকাঠি তৈরি করেন, তাহলে সময় অনেকটা লাগবে। এ ছাড়াও আপনার কর্মীর দক্ষাতার উপরও নির্ভর করবে। আপনার কর্মচারী কতটা পরিমাণ ধূপকাঠি বানাতে পারছে সেটা বড় বিষয়।
ধুপকাঠি ব্যবসায় খরচ কত?
একদম ঘরোয়া পদ্ধতিতে ধুপকাঠির ব্যবসা শুরু করতে গেলে আপনাকে প্রথম দিকে ১৫ হাজার টাকার মতো বিনিয়োগ করতে হবে। আর যদি মনে করেন যে আপনি মেশিন বসিয়ে এই ব্যবসা শুরু করবেন, সে ক্ষেত্রে আপনাকে কমপক্ষে বিনিয়োগ করতে হবে ৫ লাখ টাকা। যেমন ধরুন ম্যানুয়াল মেশিনের দাম ১৬ হাজার টাকার মতো। সেমি অটোমেটিক মেশিনের দাম প্রায় ৯০ হাজার টাকা এবং হাই কোয়ালিটি স্পিড মেশিনের দাম প্রায় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পড়তে পারে।
ধূপকাঠি বানানোর জন্য কাঁচামাল
ধূপকাঠি বানানোর জন্য যে যে কাঁচামালের প্রয়োজন এবং সামগ্রির প্রয়োজন, সেগুলোর বাজারদর হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আপনি কিরকম ধরনের কাঁচামাল এবং সামগ্রী চাইছেন তার উপরে তার দাম নির্ভর করবে।