
The Truth of Bengal: জিএসটি বা পণ্য-পরিষেবা করকে আর্থিক প্রতারণা আইনের আওতায় আনল কেন্দ্রীয় সরকার।ফলে কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন করফাঁকি, দুর্নীতি বা বেনিয়ম করলে ইডি বা তদন্ত সংস্থা মামলা করতে পারবে।দুর্নীতি রুখতে অর্থমন্ত্রকের হাতিয়ার হতে পারে এই প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট। কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এবার জিএসটি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে। যার ফলে পণ্য-পরিষেবা কর, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাগুলির তথ্য আদান প্রদানে সুবিধা করে দেবে।
অর্থাৎ ইডি বা আর্থিক প্রতারণার তদন্তে নিযুক্ত অন্য কোনও সংস্থা চাইলে যে কোনও ব্যক্তির জিএসটি তথ্য হাতে পেয়ে যাবে। আবার কোনও ব্যক্তি জিএসটি বা করফাঁকির চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্ত করতে পারবে ইডি। কি ধরণের প্রতারণা চলে জিএসটিতে? মূলত জাল ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট, জাল চালান-সহ নানারকম অপরাধ হয় এই পণ্য-পরিষেবার মাধ্যমে।সেই সম্ভাবনা রুখতেই কেন্দ্রের তৎপরতা বলে অর্থমন্ত্রক আভাস দিচ্ছে। গত ক’মাস ধরে জিএসটি সংগ্রহ ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, করের হারে রদবদলের পাশাপাশি, কর ফাঁকি আটকানোর ফলেও জিএসটি সংগ্রহ বাড়ছে। আরও বেশি সংস্থাকে আনা গিয়েছে জিএসটির আওতায়। এ বার কর ফাঁকি রোধে আরও কড়া হতে আয়কর দফতর ও কর্পোরেট মন্ত্রকের থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণের পথে হাঁটতে চলেছে জিএসটি দফতর। এখন উৎপাদন ক্ষেত্রে বার্ষিক আয় ৪০ লক্ষ টাকা এবং পরিষেবা ক্ষেত্রে ২০ লক্ষ টাকার বেশি হলে বাধ্যতামূলক ভাবে জিএসটি ব্যবস্থায় নথিভুক্ত হতে হয়। সেই অনুযায়ী এখন প্রায় ১.৩৮ কোটি ব্যবসা এবং পেশাদার এই জিএসটির নথিভুক্ত। এখন পণ্য-পরিষেবার মতো ব্যবসা সংক্রান্ত আইনের ফাঁস দৃঢ় করায় প্রতারণার ঘটনা অনেক কমানো যাবে বলে অর্থমন্ত্রকের কর্তারা দাবি করছেন।