নদীর জলের তলিয়ে ঝাড়গ্রামের একাধিক কজওয়ে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
Multiple causeways of Jhargram under river water, communication is cut off

Truth Of Bengal: ঝাড়গ্রাম: দেবব্রত বাগ: নিম্নচাপের ফলে ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ঝাড়গ্রাম জেলার জনজীবন। ভারীবৃষ্টির ফলে তারাফেনী ও শিলাবতী নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। যার ফলে তারাফেনী ও শিলাবতী নদীর উপর থাকা কজওয়ের উপর দিয়ে রবিবারের মতো সোমবার ও প্রবল স্রোতে জল বইছে। তার জন্য রবিবার এর মতো সোমবার ও ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া রুটে সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
যার ফলে ঝাড়গ্রাম এর সাথে বাঁকুড়ার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারাফেনী, ভৈরব বাকী, শিলাবতী নদীর উপর থাকা একাধিক কজওয়ে ও ব্রিজ জলের তলায়। মাথায় হাত সব্জি চাষীদের। বিশ্বকর্মা পুজোয় ভালো বাজারদরের আশা করেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু এই টানা বৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে, বিঘার পর বিঘা জমির ফসল এখন জলের তলায়। তাই বিশ্বকর্মা পূজার আনন্দ থেকে অনেকেই বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
এছাড়াও জামবনি ব্লকের চিলকিগড় এলাকায় ডুলুং নদীর উপর থাকা কজওয়ের উপর দিয়ে সোমবার ও প্রবল স্রোতে জল বইছে। যার ফলে জেলা শহর ঝাড়গ্রামের সাথে জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়, গিধনি সহ প্রায় ২০ টি গ্রামের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যার ফলে ওই গ্রাম গুলির বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। সেই সঙ্গে ডুলুং নদীর উপর থাকা ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের বড়ামারা সেতুর উপর দিয়ে প্রবল স্রোতে জল বয়ে যাওয়ার ফলে রগড়ার সাথে ঝাড়গ্রাম জেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা। অন্যদিকে টানা বর্ষণে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের কাঁথুয়া খালের জল বেড়ে যাওয়ায় কজওয়ে ডুবেছে। এই রাস্তা দিয়ে একদিকে গোপীবল্লভপুর এক ব্লক, নয়াগ্রাম এবং পাশের রাজ্য ওড়িশার বারিপদা যাওয়া যায়। আবার অন্যদিক দিয়ে এই রাস্তা উঠেছে জাতীয় সড়ক ফেকোতে। ফলে ব্যাপক সমস্যা। এদিকে, জলের স্রোত থাকলেও এদিন সকালে ঝুঁকি নিয়ে বাস-সহ বাইক চালকরা পারাপারের চেষ্টা করেন। এমন অবস্থায় একটি লরি মাঝে আটকেও পড়ে।
আর বিষয়টি জানতে পেরেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে ওই কজওয়ে দিয়ে পারাপার বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুবর্ণরেখা নদীর জল। তার ফলে সুবর্ণরেখা নদীতে ভর্তি গ্রামগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুবর্ণরেখা নদীতে ভর্তি গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।