রাজ্যের খবর

হুগলির বিশেষ আকর্ষণ ২৫০ বছরের পুরনো বনেদি বাড়ির পুজো, বিসর্জনে রয়েছে বিশেষ নিয়ম

The special attraction of Hooghly is the puja of the 250-year-old Banedi house

Truth Of Bengal : বিভিন্ন বনেদি বাড়ির পুজো ছাড়া দুর্গা পুজো অসম্পূর্ণ। আর সেই বনেদি বাড়ি পুজো গুলির মধ্যে অন্যতমও পুজো হল হুগলী জেলার শীল ঠাকুরবাড়ির দুর্গাপুজো। ২৫০ বছরের পুরনো এই পুজো যেন নিজেই নিজের ঐতিহ্যের ইতিহাস বহমান। যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে এই শীল ঠাকুরবাড়ি পুজো।

হুগলী জেলার প্রাচীনতম বনেদি পুজো গুলির মধ্যে অন্যতমও পুজো হল শীল বাড়ির দুর্গাপুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে জড়িয়ে আছে বহু ইতিহাস। এই শীল বাড়ি ৩০০ বছরের পুরনো হলেও এই পুজোর বয়স আনুমানিক ২৫০ বছর। শীল ঠাকুরবাড়ি রয়েছে চুঁচুড়ার ঘুটিয়াবাজার এলাকায়। প্রাচীন রীতি ও প্রথা মেনে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে এই শীল বাড়ির দুর্গাপুজো। কালের নিয়মে বর্তমানে পূজোর জৌলস আগের থেকে কমলেও ৪ দিন ধরে পুজোর যে পরম্পরা তা একই রয়ে গেছে।

কথিত আছে এলাকার একটু দূরেই রয়েছে গুণময় শীলের বাড়ি। সেখানেই আগে পুজো হত। পরবর্তী কালে ঈশ্বর গোকুলচন্দ্র শীলের পরিবার শীল ঠাকুরবাড়িতে এই দুর্গাপুজোর প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাচীন ঐতিহ্য বহনকারী এই পুজোতে মায়ের মূর্তিতে নেই তাঁর দশ হাত, মা বধ করছেন না অশুরকেও। আসলে এখানে মা পূজিত হয়ে থাকেন হরো পার্বতীর রূপে। অভয়া রুপি মাকে উৎসর্গ করে ঈশ্বর গোকুলচন্দ্র শীল লিখে গেছেন একটি গান।

মহালয়ার পর প্রতিপদের দিন থেকে মায়ের ঘট বসে। ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যে বেলা মায়ের বোধন শুরু হয়। তারপর দশমী পর্যন্ত চলে মায়ের আরাধনা। এই দুর্গা পুজোতে কোন পশু বলি হয়না। এখানে প্রচলিত আছে মাষভক্ত বলির প্রথা। অষ্টমী পূজা এবং সন্ধি পূজাতে ধুনাপড়ানোর রীতি প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। মায়ের পুজোতে কোন বিশেষ ভোগের আয়োজন করা না হলেও প্রতিবেশী থেকে শুরু করে আশপাশের গ্রাম থেকে আসা অনেকেই হাতে করে মায়ের জন্য নিয়ে আসেন ফল, চাল, মিষ্টান্ন।

দুর্গা পুজো বাদে বছরের অন্যান্য দিনে এই শীল বাড়িতে দিনে দু বেলা করে চলে লক্ষ্মী নারায়ণের আরাধনা। রথ যাত্রার দিনেও মহা ধুমধাম করে পালিত হয় লক্ষ্মী নারায়ণ পুজো।

Related Articles