বিনোদন

“বেণীমাধব” বিতর্ক! গৌতম হালদারের পাশে ভক্তরা , কি বললেন নাট্যশিল্পী?

"Venimadhava" controversy! Fans next to Gautam Halder, what did the playwright say?

Trurth Of Bengal: সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে তুমুল বিতর্ক সামাজিক মাধ্যমে। জয় গোস্বামীর সৃষ্ট কবিতা “মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়” উপস্থানা করে হয়েছেন ট্রোল। নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন কার কথা বলছি। হ্যাঁ, গৌতম হালদার, বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী। একটি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-এ “মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়” অর্থাৎ “বেণীমাধব” নামে পরিচিত কবিতাটি একেবারে অন্য ধাঁচে উপস্থাপন করেন অভিনেতা। বিচারকরা প্রশংসা করলেও অধিকাংশ দর্শকের অস্বস্তি বাড়িয়েছে গৌতম হালদারের এহেন উপস্থাপনা।

সামাজিক মাধ্যমে অনুষ্ঠানের ভিডিও পোস্ট করতেই ধেয়ে আসে কটাক্ষের ঝড়। কেউ বলেন “আপনি বড় মাপের শিল্পী কিন্তু দয়া করে এভাবে আর আবৃত্তি বা গান করবেন না। অসুস্থ বোধ হয় আমাদের।’ কারও মন্তব্য, ‘একজন স্কুলে পড়া মেয়ে এভাবে কদাকার অভিব্যক্তি করে নিজেকে প্রকাশ করে কিনা জানি না…।’

তবে কটাক্ষের পাশপাশি নাট্যকর্মীরা পাশেও দাঁড়িয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। একজন বলেন,” মঞ্চের জাদুকর গৌতম হালদার কে নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছেন,  তারা “মেঘনাদবধ” কাব্য টি একবার দেখে দেখে রিডিং পড়ে দেখান। তারপর কথা বলুন”।

কেউ বলেন, “জীবনে একটা কবিতা মুখস্ত করতে না পারা ‘থিয়েটার কর্মী’, গৌতম হালদার -কে নিয়ে সমালোচনা শুধু নয়, ট্রোল করছে।”

খোদ গৌতম হালদার মুখ খুলেছেন এই বিষয়ে। তিনি বলেন, “শিল্পী হিসেবে প্রশংসা এবং সমালোচনা দুটোই গ্রহণ করব। এর আগে দেশে-বিদেশে, অজস্র জায়গায় আমি ‘বেণীমাধব’ উপস্থাপনা করেছি। শ্রোতারা কিন্তু তখন মন খুলেই প্রশংসাই করেছেন। এই আবৃত্তিতে তো অভিনয়ও রয়েছে। নাটকের মাধ্যমে তো শব্দকেও খোঁজা সম্ভব। যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁরা হয়তো সেটা বুঝতে পারছেন না। শিল্পের প্রতি যাঁদের শ্রদ্ধা নেই, আমি তাঁদের গুরুত্ব দিতে চাই না।”

Related Articles