রাজ্যের খবর

পথে বেরোলেই কামড়াচ্ছে কুকুর! আতঙ্কে নদিয়ার শিবনিবাসের বাসিন্দারা

Residents of Shivnivas in Nadia are bitten by dogs when they go out on the road

Bangla Jago Desk: খ্যাপা কুকুরের কামড়ে অতিষ্ঠ গ্রামের মানুষ। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস পঞ্চায়েত এলাকায় ১৫থেকে ২০জন মানুষ কুকুরের আক্রমণের মুখে পড়েছে। তাই স্ট্রিট ডগের ভয়ে আতঙ্কিত। কেউ লাঠি হাতে কেউ বাঁশ হাতে নিয়ে বাইরে বেরুচ্ছেন। এলাকার দখলদার সারমেয়দের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছেন গ্রামবাসীরা। সবার একটাই লক্ষ্য,কুকুরের কামড় এড়িয়ে চলা।

পথে বেরোলেই কামড়াচ্ছে কুকুর। খ্যাপা কুকুরের আতঙ্কে রয়েছেন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। এরমধ্যে রাস্তায় বেরিয়ে ১৫থেকে ২০জন পথের কুকুরের কামড় খেয়ে ইনজেকশন নিতে বাধ্য হয়েছেন।অনেকেই আবার কুকুরের হাত থেকে বাঁচতে হাতে তুলে নিচ্ছেন লাঠি বা বাঁশ। শক্ত প্রতিরোধ গড়ে জীবন বাঁচানোর এ যেন মরিয়া প্রয়াস। ৮থেকে ৮০, সবাই এই স্ট্রিট ডগের ভয়ঙ্কর কামড় থেকে বাঁচার জন্য আত্মরক্ষার পথ খুঁজছেন।

এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় তাঁদেরকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শুক্রবার সকালেও বেশ কয়েকজনকে খ্যাপা কুকুর কামরায়। কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতাল সূত্রে খবর প্রায় ২০ জন খ্যাপা কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন,পাশাপাশি গবাদি পশু ও ছাগল আক্রান্ত হয়েছে খ্যাপা কুকুরের কাম়ডে্। স্থানীয় গ্রামবাসীরা কুকুরের কামড়ের রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছেন।

যাদের বেরোনোর খুব দরকার তাঁরাই বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, নিজেদের আত্মরক্ষার্থে তাঁরা লাঠি নিয়ে রাস্তায় বেরুচ্ছেন। খ্যাপা কুকুরের হাত থেকে নিজের এবং শিশুদের পরিবার রক্ষা করবার জন্যই তারা লাঠি হাতে বেরিয়েছেন পথে। অনেকেই বলছেন জলাতঙ্ক রোগের ভয় ছাড়াও এই কামড়ে যে প্রদাহ তৈরি হয়, তাতে অন্য সংক্রমণও খুব তাড়াতাড়ি ধরে। তাই বাড়তি সতর্কতা নিতেই হয়।

এছাড়া কুকুরের কামড় খুব যন্ত্রণাদায়কও। প্রদাহের যত্নের সঙ্গে বেদনানাশের উপায়ও তাঁরা জেনে নিচ্ছেন। সময় মতো চিকিৎসা না হলে কিন্তু জলাতঙ্ক যেমন প্রাণ কেড়ে নিতে পারে, তেমনই প্রদাহের জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

Related Articles