
Truth of Bengal : সম্প্রতিকালে বার বার প্রশ্নের মুখে রেল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বা মুম্বাই মেলের মতো বড় দুর্ঘটনায় যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে আঙুল উঠেছে রেলের দিকে। কেন হচ্ছে এত রেল দুর্ঘটনা? এগুলো এড়ানো যাচ্ছে না কেন? যাত্রী সুরক্ষা কোথায় ? এই সব প্রশ্ন চাপে ফেলেছে রেল কর্তৃপক্ষকে। এবার রেল দুর্ঘটনা এড়াতে রেল কর্তৃপক্ষের বড় পদক্ষেপ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করতে চলছে রেল। যার মাধ্যমে আগে থেকে আঁচ করা যাবে দুর্ঘটনার পরিস্থিতি, ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।
রিলিফ বোর্ডের চেয়ারপার্সেন তথা সিইও জয় বর্মা এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন। সমস্ত লোকোমোটিভি বসানো হচ্ছে এআই সিসিটিভি। যার মাধ্যমে রিয়াল টাইমিং মনিটরিং করা সম্ভব হবে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বা হাওড়া মুম্বাই মেল পরপর যে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন রেল দুর্ঘটনা না হয় সে কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে যে কুম্ভ মেলা হয় তাতে যোগ দিতে কাতারে কাতারে মানুষ রেল যাত্রা করে। পরের বছর সেই মেলা শুরু হওয়ার আগে এই নতুন প্রযুক্তি কার্যকর করতে চাইছে রেল। ২০২৫ এর কুম্ভ মেলায় ৩০ কোটি তীর্থযাত্রীর সমাগম হবে বলে মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ। সেই জন্য ৯০০টি স্পেশাল ট্রেনে চালানোর হতে পারে। পাশাপাশি ২০২৫ এর কুম্ভ মেলার আগে প্রয়াগ রাজ জংশনকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। কেন্দ্রের অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় যে স্টেশন গুলির পুনর্নির্মাণ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে তার মধ্যে প্রয়াগ রাজ জংশন অন্যতম।
উল্লেখ্য চলতি বছরে ১৮ ই জুন উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় চন্ডিগড় থেকে ডিব্রুগড়গামী ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস এর অন্তত 10 থেকে 12 টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। এই দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়। এর ঠিক এক মাস পরে ১৭ই জুন উত্তরবঙ্গের চোটের হাট এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এই দুর্ঘটনায় কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড এবং মালগাড়ি চালক সহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ৫০ জন। আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২ জুন পরিষদ বালেশ্বরের বাহানগা বাজার লাইনচ্যুত হয় করমন্ডল এক্সপ্রেস। এই দুর্ঘটনায় 288 জনের মৃত্যু হয়। একের পর এক দুর্ঘটনায় যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নের মুখে রেল।