রাজ্যে জিএসটি দুর্নীতি বন্ধে শুরু আধার যাচাই
Aadhaar verification started to stop GST corruption in the state

The Truth Of Bengal: সোমবার থেকেই রাজ্যে জিএসটির আধার যাচাইকরণ চালু হচ্ছে। জিএসটির জন্য আবেদনকারী শিল্প সংস্থা বা ব্যবসায়ীর জন্য শর্তসাপেক্ষে এই নিয়ম চালু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জিএসটি রেজিস্ট্রেশন নিয়ে রাখা সংস্থাগুলির জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। গোটা প্রক্রিয়াটি কার্যকর করতে রাজ্য অর্থদপ্তরের আওতাধীন জিএসটি অফিসারদের প্রশিক্ষণপর্ব শেষ হয়েছে। দেশজুড়ে জিএসটি প্রতারণা লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। ভুয়ো সংস্থা খুলে জিএসটিতে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এই জালিয়াতি জাঁকিয়ে বসেছে পশ্চিমবঙ্গেও। আর এবার তাতে রাশ টানতেই জিএসটির আধার যাচাইয়ের কাজ শুরু হচ্ছে। এই কাজের জন্য রাজ্যে ৩২টি জিএসটি সুবিধাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে এমনটাই রাজ্য কমার্শিয়াল ট্যাক্সেস-এর কমিশনার জানিয়েছেন।
জিএসটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনকারীদের বেশ কিছু নথি জিএসটি সংক্রান্ত পোর্টালে জমা করা বাধ্যতামূলক। অর্থদপ্তর সব নথি খতিয়ে দেখবে। আবেদনগুলি ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং রিস্ক প্যারামিটারের ছাঁকনিতে ফেলে দেখা হবে। যে আবেদনগুলি নিয়ে আধিকারিকদের প্রশ্ন থাকবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা ব্যক্তিকে আধার যাচাইকরণের জন্য জিএসটি সুবিধাকেন্দ্রগুলিতে ডাকা হবে। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি লিঙ্ক যাবে। সেই লিঙ্ক থেকে সুবিধাকেন্দ্রে যাওয়ার সময় বেছে নিতে পারবেন তিনি। যেভাবে পাসপোর্টের জন্য অ্যাপয়েন্টনমেন্ট পাওয়া যায়, প্রায় সেই ধাঁচেই সময় মিলবে। আবেদনে সংস্থার যে ডিরেক্টর বা মালিকের স্বাক্ষর থাকবে, তাঁকেই সুবিধাকেন্দ্রে আসতে হবে। না এলে মিলবে না জিএসটি রেজিস্ট্রেশন। আবেদনকারীরা আধার যাচাইকারণের জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন।
আবেদনকারীকে সুবিধাকেন্দ্রে আসার সময় আধার, প্যান, অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংক্রান্ত ই-মেলের কপি এবং আবেদনের সময় আপলোড করা নথিগুলি সঙ্গে আনতে হবে। ২০২৩ সালের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে ভুয়ো জিএসটি রেজিস্ট্রেশন ধরতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। দেশজুড়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৯ হাজার ২৭৩টি ভুয়ো সংস্থার হদিশ মিলে। ৪৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি জিএসটি প্রতারণা করেছিল এই সংস্থাগুলি। স্টেট জিএসটিতেই ১৫ হাজার ২৪০ কোটি টাকার প্রতারণা হয়। এই ক্ষতি এড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার আধার যাচাইকরণের পথে এগচ্ছে। সেই উদ্যোগ শুরু হল পশ্চিমবঙ্গেও।