রাজ্যের খবর

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন দম্পতি, সার্বিক প্রতিবাদ চান যাত্রীদের পরিবার

The couple returned from the face of death in a long-distance train accident

The Truth of Bengal: মৃত্যুরমুখ থেকে ফিরে এসে এখন স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন হুগলির দম্পতি। মুম্বইয়ে চিকিত্সার জন্য যাচ্ছিলেন হুগলির খামারগাছির শ্যামাপ্রসাদ হালদারও তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা হালদার। সিএসএমটি মুম্বই এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন  তাঁরা। ভোর সারে তিনটের সময় হঠাত্ তাঁরা ঝাঁকুনি অনুভব করেন। সম্বিত ফিরতেই দেখেন, চক্রধরপুরের কাছে  বেলাইন হয়ে গেছে ট্রেনের আঠারোটি কামরা। ভয়ে কান্নাকাটি করছিলেন শ্যামপ্রসাদ হালদারের স্ত্রী। বেঁচে ফিরলেও মনে আতঙ্কের রেশ কাটেনি দম্পতির।

দুর্ঘটনার কবলে আবারও দূরপাল্লার ট্রেন। মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ঝাড়খণ্ডের কাছে চক্রধরপুরে সিএসএমটি মুম্বই এক্সপ্রেসের ১৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। সেই ট্রেনে বাংলার বহু যাত্রী ছিলেন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম হুগলির দম্পতি শ্যামাপ্রসাদ হালদারও তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা হালদার। তাঁরা মুম্বই যাচ্ছিলেন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা। দুজনেই মুম্বই যাচ্ছিলেন।তাঁদের বাড়ি হুগলির বলাগড়ের খামারগাছি মুক্তকেশি তলায়। অঞ্জনা হালদার চন্দননগর কমিশনারেটে কর্মরত।তার চিকিৎসার জন্য মুম্বই যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁদের নিশ্চিন্তের যাত্রা এলোমেলো করে দেয় রেলের দুর্ঘটনা। ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ,তাঁরা বড় ঝাঁকুনি পান।প্রচণ্ড শব্দের পর কামলাগুলো হেলে পড়ে। তাঁরা বি-২কামরায় ছিলেন। কিন্তু তীব্র আওয়াজ আর ট্রেন বেলাইন হওয়ার কথা টের পাওয়ার পর তাঁরা আর থাকতে পারেননি।অঞ্জনাদেবী বিপদের আশঙ্কায় কান্নাকাটি শুরু করেন।তারপর তাঁরা বুঝতে পারেন ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়টি। আতঙ্কে কাঁটা হয়ে যান তাঁরা। মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসার পর আতঙ্ক কাটছে না।

ট্রেন দূর্ঘটনার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পরেন তাঁদের পরিবার-পরিজন। শ্যামা প্রসাদ বাবুর দাদা রামপ্রসাদ হালদার জানান,দুটনা পর তাকে ফোন করে খবর দেন তার ভাই। ভয়ে আতঙ্কে খুব কান্নাকাটি করছিলেন অঞ্জনা দেবী।তাঁদের কাছে ট্রেন সফর এখন  আতঙ্কের যাত্রা হয়ে উঠেছে। তাঁদের জীবন সুরক্ষিত থাকলেও সহযাত্রীদের অসহনীয় অবস্থার কথা মনে পড়লেই আঁতকে উঠছেন হালদার দম্পতি। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।কেন রেল প্রশাসন বারবার ব্যর্থতার নজির রাখছে ? কেন লাইফলাইনের প্রতি মানুষের ভরসা কমতে বসেছে ? সেই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেছেন দুর্ঘটনার কবল থেকে ফিরে আসা মানুষ থেকে  হুগলির বাসিন্দারা। রেলযাত্রীরাও দাবি করছেন,বিজেপি সরকারের আমলে রেলের এই বেহাল দশার জন্য সার্বিক প্রতিবাদ হওয়া দরকার।রেলযাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তার গ্যারান্টির কথা বলেও যেখানে রেল রাখতে পারছে না,সেখানে রেলমন্ত্রী তথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়ছে।

Related Articles