পর্যটন বিকাশে উদ্যোগী জেলা প্রশাসন, জটার দেউল পরিদর্শন জেলাশাসকের
District Collector of South 24 Parganas visited Eco Tourism Park

The Truth of Bengal: এলাকার পর্যটন পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে রায়দিঘির জটার দেউলের পাশাপাশি সেখানকার ইকো ট্যুরিজম পার্ক পরিদর্শনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক। এলাকার পর্যটন বিকাশে কী কী দরকার সেখানে, কেমন করে সাজানো যায় এই পর্যটনকেন্দ্রগুলি তা খতিয়ে দেখতেই জেলা প্রশাসনের তরফে এই পরিদর্শন।
বিশ্ব মানচিত্রে অন্যতম সেরা পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত সুন্দরবন। সেই সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে এমন অনেক জায়গা আছে, যে সব জায়গা একটু সংস্কার করলে বদলে যেতে পারে এলাকার পর্যটন পরিবেশ। তেমনই একটি জায়গা হল রায়দিঘির জটার দেউল। সুন্দরবনের রায়দিঘিতে পর্যটনের বিকাশ ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। ইতিহাস প্রসিদ্ধ জাতীয় সৌধ জটার দেউল। এই জটার দেউলের চারপাশ কী ভাবে সাজিয়ে তোলা যায়, তা দেখতে পরিদর্শন করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। ছিলেন রায়দিঘির বিধায়ক ডঃ অলোক জলদাতা। পাশাপাশি, রায়দিঘির দিঘির পাশে ইকো টুরিজ্যম পার্কও ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। পরে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, কেমন করে সাজানো যায় এই পর্যটনকেন্দ্রগুলি তার জন্যই এই পরিদর্শন। ইকো ট্যুরিজ্যম পার্কে ক্যাফেটেরিয়া, শিশুদের জন্য পার্ক, দিঘির জলে প্যাডেল বোট চালুর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিধায়ক ডঃ অলোক জলদাতা জানান, জটার দেউল ও ইকো ট্যুরিজম পার্ক নিয়ে নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জেলাশাসক নিজে দেখে গেলেন এই জায়গা। জটার দেউল সংলগ্ন এলাকায় বাইরের দিকে সব উন্নয়ন হবে।
রায়দিঘি বিধানসভার কঙ্কণদিঘি পঞ্চায়েতের পশ্চিম জটা গ্রামে জটার দেউল নামে শিবমন্দির অবস্থিত। ১৯১৬ সালে কেন্দ্রের পুরাতত্ব বিভাগ এটাকে জাতীয় সৌধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর অনেক দূর দূর থেকে বহু মানুষ এখানে আসেন। তবে তাঁদের বসার জায়গা নেই। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও। যা নিয়ে মানুষজনের ক্ষোভ ছিল। সেই জায়গায় আরও উন্নতি সাধনের পাশাপাশি রায়দিঘি পঞ্চায়েতের অধীনে ইকো ট্যুরিজম পার্কের আরও উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।