সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের ‘হাই ফ্রিকোয়েন্সি’ রেডিয়ো সেটে বাংলাদেশী জাহাজের কথোপকথন! চাঞ্চল্য
Bangladeshi ship conversations on Sundarbans fishermen's 'high frequency' radio set

The Truth of Bengal: মাঝ সাগর থেকে ডাঙার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ভেরি হাইফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়ো সেট।সেইমতো মত্স্যজীবীরা ট্রলারে এই হাই -ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়ো সেট নিয়ে গেছেন। কিন্তু সেই হাইফ্রিকোয়েন্সি সেটে শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশের জাহাজের কথোপকথন।যারজন্য যোগাযোগ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সুন্দরবনের প্রায় ৯হাজার মত্স্যজীবীকে।
মাঝ সমুদ্র থেকে ডাঙার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়ো সেট।এই কারণে সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে মৎস্যজীবীদের ট্রলারে বাধ্যতামূলকভাবে সেট রাখা হয়। এই আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে এখনও কিছু মৎস্যজীবী সরগর না হয়ে ওঠায় সমস্যা দেখা দিয়েছে উপকূলে। তারমাঝে এবার মাথাব্যথার কারণ হয়ে হয়েছে বাংলাদেশের জাহাজের কথোপকথন। সুন্দরবনের প্রায় ৯ হাজার মৎস্যজীবী ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন।দেখা যাচ্ছে,সেইসব মত্স্যজীবীদের ভেরি হাইফ্রিকোয়েন্সি রিডেও সেটে বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের জাহাজের কথোপকথন। যারজন্য যোগাযোগের প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।
প্রতি বছরই মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারডুবি হয়ে মৎস্যজীবীদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। কারও কারও হদিশ মেলে না। অথচ, ট্রলারগুলির সঙ্গে মৎস্য বন্দরগুলির যোগাযোগ রাখার জন্য প্রতিটি ট্রলারেই রয়েছে ভিএইচএফ বা ভেরি হাইফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়ো সেট। একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলে বন্দরের সঙ্গে বারো থেকে পনেরো নটিক্যাল মাইল থেকে যোগাযোগ করতে পারেন মৎস্যজীবীরা। আবহাওয়ার উপরে নির্ভর করে আরও বেশি দূর থেকেও। সমুদ্রের মধ্যে প্রতিটি ট্রলার পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে এই রেডিয়ো সেটের মাধ্যমে। উপকূল রক্ষী বাহিনীও ট্রলারগুলির মধ্যে কথোপকথন শুনতে পায় ওই নির্দিষ্ট চ্যানেলে কথা বললে। কিন্তু চ্যানেল বদলালেই সমস্যা হয়। বাংলাদেশ থেকে কলকাতা বন্দরে যাতায়াত করা বার্জগুলির কথোপকথনও শোনা যায় এই রেডিও সেটে।