রাজ্যের খবর

ফেসবুকে আলাপ থেকে বিয়ে, ভালোবাসার অনন্য নজির এই মূক-বধির যুগলের প্রেমকাহিনী

The love story of this deaf-mute couple is a unique example of love

The Truth of Bengal: ফেসবুকের মাধ্যমে গড়ে ওঠে যোগাযোগ। কথা না বলতে পারলেও ওঁরা মনের ভাষা বোঝেন।  প্রেমের জোয়ারে হাবুডুবু খান তাঁরা। বাঁধনহীন আবেগের টানে উত্তরপ্রদেশের মূক বধির প্রেমিক ছুটে এলেন মালদায়।মনের মিলন থেকেই পাকাপাকি তাঁরা সাতপাঁকে বাধা পড়লেন। নীড় বাঁধলেন রিঙ্কি দাস ও রাজিত সিং। প্রেমের এই নিখাদ কাহিনী  নবপ্রজন্মের কাছে নজির হয়ে উঠেছে।

প্রেম বড় মধুর,কভু কাছে কভু সুদূর। কেউ কেউ বলেন, প্রেম বলেকয়ে আসে না। কখন কী ভাবে প্রেমের জোয়ারে হাবুডুবু খাবে মন, তা কি আর আগে থেকে বলা সম্ভব? প্রথম প্রেমের অনুভূতিই আলাদা। চোখের আড়াল হলেই মন টানে প্রেয়সীর জন্য।সেরকমই এক  বাঁধনহীন আবেগের টানে উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলায় ছুটে এসেছেন মূক বধির যুবক রাজিত সিং। গৌড়বঙ্গের মূক বধির কন্যার সঙ্গে ভালোবাসার ডোরে বাঁধা পড়েছেন তিনি। কিভাবে এই মন দেওয়া-নেওয়ার কাজ শুরু হল ? আসলে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রথম পরিচয় হয় তাঁদের। আস্তে আস্তে দুজনের সম্পর্কের বাঁধন শক্ত হয়। ভার্চুয়াল প্রেম থেকেই মনের মিলন সম্পন্ন হয়। প্রাথমিকভাবে ভালোবাসার সম্পর্ক হলেও পরবর্তীকালে তাঁরা পরস্পরকে স্বচক্ষে দেখেন।দুই পরিবারই সম্পর্ককে স্থায়ী রূপ দিতে রাজি হয়। রাজিত আর রিঙ্কি দুজনেই সাত পাকে বাঁধা পড়লেন। জীবনছন্দে লাগল নতুন রং।

বিধির বিধানে মেলেনি বাকশক্তি কিন্তু অন্তরের ভালোবাসা তাঁদের কখনই হারিয়ে যায়নি। এ যেন সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায়। মালদা শহরের এলিট কর্নারের বাসিন্দা নাড়ু দাস ও কল্পনা দাসের প্রতিবন্ধি কন্যা রিঙ্কি দাস কখনও স্বপ্নেও ভাবেননি তাদের মেয়ের এভাবে শুভ পরিণয় হবে। সুদূর উত্তর প্রদেশের কিষান পাল ও কমলা দেবীর একমাত্র মুক বধির পুত্র রাজিত সিং এভাবে রিঙ্কির প্রেমে পড়বেন তা কেউ বোধহয় বুঝতে পারেননি। দুজনেই কথা বলতে না পারলেও ফেসবুকের মাধ্যমে যেভাবে তাঁরা মন দেওয়া-নেওয়ার কাজটা সেরে ফেলেন তা সত্যিই আধুনিক প্রেমের জগতে অভিনব। দুই পরিবারের সম্মতিতে তাঁদের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। ইংরেজ বাজার থানার ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসার সৌরজিৎ রায় জানান, এরকম বিয়ে  জীবনে স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।তিনি   বিনা পারিশ্রমিকে মূকবধির রিঙ্কি ও রাজিতের এই বিয়ে সম্পন্ন করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সামাজিক বন্ধনের দুয়ার খুলে যাওয়ায় সবপক্ষই বেশ খুশি।

Related Articles