দেশ

বিতর্কিত মন্তব্যের পর বারসানার রাধারাণী মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন পণ্ডিত প্রদীপ মিশ্র

Pandit Pradeep Mishra went to Barsana's Radharani temple and apologized after the controversial remarks

The Truth of Bengal: বার্সানার রাধারানী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর শিব কথা পাঠক পণ্ডিত প্রদীপ মিশ্র বার্সানার শ্রী রাধারাণীর মন্দিরে পৌঁছেছেন। এখানে তিনি রাধারানীকে প্রণাম করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ৫ মিনিট ধরে তিনি বার্সানায় ছিলেন। এখানে তিনি রাধা-রানীকে প্রণাম করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।  তিনি নাক ঘষে ক্ষমা চাইলেন। এরপর মন্দির থেকে বেরিয়ে আসেন। ব্রজবাসীকে হাত জোড় করে শুভেচ্ছা জানালেন। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শ্রীজি মন্দিরের কাছে ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ব্রজবাসীকে অনেক অনেক অভিনন্দন। রাধা-রানীকে দেখতে এসেছি। ব্রজবাসীর প্রতি ভালোবাসার কারণেই আমি এখানে এসেছি। সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যাতে তিনি রাধারানী সম্পর্কে কথা বলেছেন। ব্রজবাসী ও রাধাভক্তরা তাঁর বক্তব্যে অত্যন্ত দুঃখিত হলেন এবং প্রতিবাদ করতে লাগলেন।

রাধারানীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন

পন্ডিত প্রদীপ মিশ্র একটি গল্পের সময় বলেছিলেন যে রাধাজি বরসানার বাসিন্দা নয়, রাওয়াল গ্রামের বাসিন্দা। বার্সানায় তার বাবার কোর্ট ছিল। তিনি বছরে একবার সেখানে যেতেন। বছরে একবার আসে বার্সানায়। পণ্ডিত প্রদীপ মিশ্র সম্প্রতি ছত্তিশগড়ে একটি গল্পের সময় রাধা রানীকে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, শ্রীকৃষ্ণের ১৬ হাজার রানীর মধ্যে রাধার নাম নেই। স্বামীর মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের নাম নেই। তিনি বলেছিলেন, রাধা রানী শ্রী কৃষ্ণের স্ত্রী নন, ছটা বাসিন্দা অনয় ঘোষকে বিয়ে করেছিলেন। রাধাজীর স্বামীর নাম অনয় ঘোষ, শাশুড়ির নাম জাটিলা এবং ভগ্নিপতির নাম কুটিলা। রাধাজীর বিয়ে হয়েছিল ছাতা গ্রামে। এর পর প্রদীপ মিশ্রের বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছিল সন্ত সমাজ। বার্সানায় ঋষি-সাধুদের একটি মহাপঞ্চায়েতও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিপুল সংখ্যক সাধক ও ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। এই মহাপঞ্চায়েতে প্রদীপ মিশ্রকে ক্ষমা চাইতে চারদিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল।