সজল ধারা প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের জলকষ্ট থেকে মুক্তি দিল কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতি
Keshpur Panchayat Samiti freed villagers from water problems through Sajal Dhara project

The Truth of Bengal: জলকষ্ট থেকে গ্রামের মানুষকে রেহাই দিল কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতি। দীর্ঘদিন পরিশ্রুত পানীয় জল না মেলায় সমস্যায় পড়েন এনায়েতপুর পঞ্চায়েতের কাপাসটিকরির গ্রামবাসীরা। নলকূপ থাকলেও জল না মেলায় দূর দূরান্ত থেকে পানীয় জল বয়ে আনতে হত মহিলাদের। এখন সমাধান হয়েছে। পাড়াতেই মিলছে পানীয় জল। খুশি গ্রামবাসীরা।
কল থাকলেও জল পড়ত না, ..জল তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যেত।কাঠফাটা রোদ বা প্রচণ্ড গরমে পানীয় জল মেলা দুষ্কর হয়।তাই ঘরের মহিলাদের কলসি বা জলপাত্র নিয়ে দূরের গাঁয়ে জল আনতে যেতে হত।কষ্টে জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠতো।তবুও দিনের পর কেশপুরের কাপাসটিকরির বাসিন্দাদের এই জল বয়ে আনার অভ্যাস বজায় রাখতে হতো।গরমের দাপট কমেছে,কিন্তু জল কিভাবে মিলবে ? কবে ইতি পড়বে অবাক জলপানের রোজনামচায় ? কষ্টের মধ্যে থাকা এই গ্রামের মানুষদের স্বস্তি দিতে এগিয়ে এসেছে প্রশাসন।কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে এই এনায়েতপুর পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাপাসটিকরির মানুষ মানবিক পথে জল সরবরাহের ব্যবস্থা দেখে বেশ খুশি।
এলাকায় বেশ কয়েকটি নলকূপ থাকলেও তা বেহাল অবস্থায় দীর্ঘদিন পড়ে রয়েছিল। বারবার পঞ্চায়েত সমিতি ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় গ্রামবাসীরা। কোন সুরাহা না হওয়ায় দূর দূরান্ত থেকে জল এনে তৃষ্ণ মেটাতে হয়। গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা হওয়ায় পঞ্চায়েত সমিতি ও সমষ্টি উন্নয়ন বিভাগ কে ধন্যবাদ জানিয়েছে গ্রামবাসারী। বাংলার সরকার ন্যূনতম পরিষেবা প্রদানে বড় সংবেদনশীল ভূমিকা পালন করেছে।যেখানে পানীয় জল নেই সেখানে সজল ধারা প্রকল্পের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।আর জলাশয় কমে যাওয়ায় জলধরো জলভরোর মতো প্রকল্প নেওয়া হয়েছে,যাতে মেঘ সৃষ্টি থেকে বৃষ্টির জলের প্রক্রিয়া মসৃণ হয়। তবুও রাজ্যের কিছু কিছু এলাকায় এখনও পানীয়জলের কষ্ট থাকায় প্রশাসন সর্বজন হিতায় এই পানীয় জল পরিষেবা সম্প্রসারণের কাজ করছে যুদ্ধকালীন গতিতে।