নিত্যদিনের অভাবকে সঙ্গী করেই উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য পল্লবীর, লক্ষ্য সমাজের সেবা করা
Pallaveer's eye-catching success in higher secondary by accompanying the daily scarcity, the aim is to serve the society

The Truth Of Bengal : একদিকে প্রত্যন্ত এলাকায় বাস আর অন্যদিকে পরিবারের আর্থিক অনটন।সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এবার উচ্চমাধ্যমিকে আশাতীত ফল করেছে কুলতলীর পল্লবী মণ্ডল।জামতলা ভগবান চন্দ্র হাইস্কুলের পড়ুয়া এবার ৫০০-র মধ্যে ৪৪২ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।কিভাবে তাঁর স্বপ্নের দৌড় শুরু হয়েছিল জানেন ? ছোট বেলা থেকেই বইয়ের প্রতি বড় ভালোবাসা ছিল।সবকিছু ছেড়ে পড়াশোনাকেই ধ্যান জ্ঞান করেন।দিন রাত এক করে সিলেবাস শেষ করার পণ করেন। দিনরাত এককরে পড়াশোনা করার ফলও পেয়েছেন তিনি ।অনটন-অভাবকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে জীবনের স্বপ্নের উড়ানকে এগিয়ে নিতে যেতে বদ্ধপরিকর পল্লবী মণ্ডল। সংসার চালাতে বিড়ি বাঁধে মা,বাবা একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। অনটনের মধ্যে হার না মানা মানসিকতা নিয়ে পড়াশোনা করে উচ্চমাধ্যমিকে তাক লাগিয়ে দেওয়া ফল করেছে কুলতলীর পল্লবী মণ্ডল। নার্স হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের পর পল্লবী সমাজের সেবা করতে চান।
এই সাফল্যে পরিবারের সকলেই খুব খুশি। সাফল্যের পিছনে রয়েছে তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম, অদম্য জেদ রয়েছে। বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান পল্লবী। , বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করাই তাই দায়িত্ব, সংসারের হাল ধরতে হবে তাঁকে , । আর্থিক অনটনের জন্য সব সাব্জেক্টের উপর টিউশন নিতে পারেননি, তবে কোচিং সেন্টারে না পড়ে এই সাফল্য পাওয়া যায় সেটা প্রমান করেছে পল্লবী। নিজের সঙ্গে লড়াই করে সাফল্য পাওয়া যায়, পড়ায় কোন নির্দিষ্ট সময় মনেনি, সুযোগ পেলে পড়তে হবে । তার স্বপ্ন সে নার্সিং পড়বে ,সরকারি সুযোগের অপেক্ষায় মেধাবী ছাত্রী।পল্লবীর বাবা বলেন মেয়ের বই কিনতে কোম্পানি থেকে লোন নিয়েছেন।শিক্ষকরা তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
কথায় বলে একবার না পারিলে দেখো শতবার।একথা-কে পাথেয় করেই সমাজসেবার নতুন অঙ্গীকার নিয়ে জীবনের মোড় ঘোরানোর চেষ্টায় রয়েছেন কুলতলির জামতলার এই পড়ুয়া।