সীমান্তের রাস্তা বেহাল, ফুঁসছে টাঙ্গন নদী, ভ্রুক্ষেপ নেই কেন্দ্রের
The border road is bad, the Tangon river is flowing, the center does not care

The Truth Of Bengal : উত্তর দিনাজপুর : সত্যেন মহন্ত : বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কাঁটাতারের বেড়ার পাশেই রধিকাপুর গ্রাম। পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে টাঙ্গন নদী। ভরা বর্ষায় দু’পাড় প্লাবিত হয়ে এলাকায় রাস্তাঘাট নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সীমান্ত টহলদারীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কারে বা নদী ভাঙন রোধে ভ্রুক্ষেপ নিয়ে কেন্দ্রের। নদী ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি গ্রামবাসীদের।
উত্তরবঙ্গে চলছে ভারী বৃষ্টি। লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত একাধিক এলাকা। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের আবহে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রধিকাপুরের বেশ কয়েকটা গ্রামের মানুষ ভয়ঙ্কর নদী ভাঙনের আশঙ্কায় ভুগছেন। বর্ষার শুরুতেই ফুঁসছে টাঙ্গন নদী। প্রতিবছর ভরা বর্ষায় নদীর জল ছাপিয়ে যায়। নদী ভাঙন এবং নদী তীরের রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়া সত্বেও এই নদী ভাঙন রোধে বা সীমান্তবর্তী রাস্তা সংস্কারে কোন হেলদোল নেই কেন্দ্রের। নদী ভাঙনের আতঙ্কে তাই এলাকার বাসিন্দারা আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন।
প্রতি বছরই টাঙ্গন নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ ভাঙনের শিকার । গত ২০১৭ সালে বন্যায় প্লাবিত হয় রাধিকাপুর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাঙন রোধে কেন্দ্র এগিয়ে না এলেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিরন্ময় সরকার।
এলাকাবাসীরা জানান, রোজ একটু একটু করে তিলে তিলে গড়ে তোলা ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। বাড়ি-ঘর ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি চাষের জমিও নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে অসহায়ের মত এই দৃশ্য দেখেও আটকানোর উপায় নেই। একেবারে কাঁটাতারের বেড়ার পাশেই গ্রাম। এলাকার রাস্তা সীমান্ত নিরাপত্তায় টহলদারির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্র উদ্যোগী হলে বছরভর এই সমস্যা থাকত না, মনে করছে সাধারণ মানুষ।