চিনের আগ্রাসী পদক্ষেপ অব্যাহত, ৪ বছর আগের মোদির ক্লিনচিট কোথায় গেল, প্রশ্ন কংগ্রেসের
China's aggressive actions continue, where did Modi's clean chit of 4 years ago go, Congress questions

The Truth of Bengal: চিনের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল কংগ্রেস। চার বছর আগে এই দিনে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, “না কোই হামারি সীমা মে ঘুস আয়া হ্যায়, না হি কোই ঘুসা হুয়া হ্যায়।” অর্থাৎ কেউ আমাদের অঞ্চলে প্রবেশ করেনি। প্রধানমন্ত্রীর সেই উদ্ধৃতিকে সামনে রেখে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে একহাত নিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান সীমান্তে সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। তার চার দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেছিলেন কেউ আমাদের অঞ্চলে প্রবেশ করেনি। কিন্তু এই চার বছরে চিন সীমান্তে বেশ কিছু এলাকায় ভারতীয় সেনা পৌঁছাতেই পারছে না। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, পূর্ব লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডের ২০০০বর্গ কিলোমিটার উপরে চিনা নিয়ন্ত্রণকে বৈধ করেছে। এই কংগ্রেস নেতার দাবি আজ পর্যন্ত ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনি ভারতীয় সৈন্যরা।
চিনা বাহিনী ভারতীয় পাঁচটি টহল পয়েন্টে কৌশলগত দখলদারি রেখেছে। ডেপসাং সমভূমিতে ভারতীয় প্রবেশ অবরোধ করে রেখেছে চিনা-বাহিনী। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “যেভাবে চিন আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ভারতীয় সীমান্তে দাপট দেখাচ্ছে তা কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী এখনও কী বলবেন কেও আমাদের অঞ্চলে প্রবেশ করেনি।” জয়রাম রমেশের দাবি, “বেশকিছু এলাকায় এখনও চিনের ঔদ্ধত্য বজায় রয়েছে। সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না ভারতীয় সেনা।
কেউ আমাদের অঞ্চলে প্রবেশ করেনি এই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় শহীদ জওয়ানদের অপমান করেছেন। “কংগ্রেসের অভিযোগ, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে চিনের আগ্রাসী মনোভাব বজায় রয়েছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার তা মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারত-চিন সীমান্তে একাধিক এলাকায় চিনের আধিপত্য বজায় রয়েছে। যে পথে মোদি সরকার চলছে তাতে করে চিনের সাহস বেড়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে কোনরকম জবাব দিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী। জয়রাম রমেশ বলেন এখনএখনও কি প্রধানমন্ত্রী বলবেন, “না কোই হামারি সীমা মে ঘুস আয়া হ্যায়, না হি কোই ঘুসা হুয়া হ্যায়।”