স্বস্তিতে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা, কমছে জলস্তর
Residents of Teesta banks are relieved, the water level is decreasing

The Truth Of Bengal : জলপাইগুড়ি : গতকাল থেকে সিকিমে সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় তিস্তা নদীর জল কমেছে। আর এতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
গতকাল থেকে সিকিমে সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় ফুলেফেঁপে ওঠা তিস্তা নদীর জল কিছুটা কমেছে। তবে এখনও তিস্তার ভয়াল রুপ দেখা যাচ্ছে। এদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় সিকিমে জোরকদমে শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। উল্লেখ্য সিকিমে লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা সহ পাহাড়ি নদীগুলো ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। সিকিমের একাধিক জায়গায় যেমন ধস নামে তেমনি বেশ কিছু রাস্তায় ধসের কারণে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়েন প্রচুর পর্যটক। পাশাপাশি সিকিমে ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি নদীগুলোতে জলস্তর বাড়ায় সমতলের কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়। এমনকি তিস্তা তীরবর্তী দুই একটি এলাকায় জল ঢুকে পড়ে। মালবাজার মহকুমার অন্তর্গত তিস্তা তীরবর্তী টটগাঁও বস্তিতে যেমন জল ঢুকে পড়ে তেমনি ক্রান্তি ব্লকের চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। তবে বুধবার তিস্তা নদী যে ভয়ানক রুপ ধারণ করেছিল, শনিবার সেই পরিস্থিতির কিছুটা বদল হয়েছে। কিছুটা জল কমেছে তিস্তার। যে কারণে তিস্তার জলে প্লাবিত হয়ে পড়া ক্রান্তি ব্লকের দুটি গ্ৰামের জলও কমেছে। পাশাপাশি পাহাড়ি নদীগুলোর জলও কিছুটা কমেছে। যেকারণে কিছুটা হলেও আতঙ্ক কমেছে তিস্তা পারের বাসিন্দাদের। তবে এখন সমতলে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে যে কারণে ফের জলস্তর বাড়তে পারে তিস্তা নদী সহ অন্যান্য নদীগুলোর। তাই সতর্ক রয়েছে জেলা প্রশাসন।জল কমলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে প্রশাসন।
সিকিমের গ্যাংটকের এক হোটেল ব্যবসায়ী ফোনে জানান,” গতকাল থেকে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি তাই তিস্তার জল কিছুটা কমেছে। যে সমস্ত জায়গায় ধস নেমেছে সেই সমস্ত জায়গায় জোর কদমে কাজ শুরু হয়েছে। যদিও আকাশে এখনো মেঘ রয়েছে, তাই বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।”
মাল মহকুমার অন্তর্গত বাগ্ৰাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অনুপ শর্মা জানান,”তিস্তা নদীর জলে টটগাও বস্তি জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল । তবে এখন অনেকটা জল কমেছে।”