রাজ্যের খবর

অতি মানবীয় শক্তি নিয়ে গবেষণা, আমেরিকায় ডাক হুগলির গবেষকের

Research on superhuman strength, Hooghly researcher in America

The Truth of Bengal: ভৌগোলিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়ের ওপর গবেষণা করছেন। তাঁর গবেষণার অন্যতম একটি বিশেষ অংশ হল অতি মানবীয় শক্তি বা ইনসেন্ট এলিয়েন। এই গবেষণার সাফল্যও এসেছে। কিছু দিন আগে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইউনাইটেড স্টেটস গবেষণাপত্র দেখে অভিভূত হয়ে তাঁকে সুযোগ দিতে চায় আমেরিকায় গিয়ে টিম তৈরি করে গবেষণার জন্য। তিনি উত্তরপাড়া সখেরবাজার এলাকার বাসিন্দা সমর চৌধুরি। স্বীকৃতি মেলায় এবার আরও বড় করে ঝাঁপিয়ে পড়তে চান তিনি।পেশায় তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার। নেশা গবেষণা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি গবেষণা করছেন বিভিন্ন ভৌগোলিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়ের ওপর। তাঁর গবেষণার অন্যতম একটি বিশেষ অংশ হল অতি মানবীয় শক্তি বা ইনসেন্ট এলিয়েন। যেখানে তিনি গবেষণা করছেন মেগালিথস ও টেরা ফর্মিং নিয়ে। এই গবেষণার সাফল্যও এসেছে। কিছু দিন আগে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইউনাইটেড স্টেটস তাঁর গবেষণাপত্র দেখে অভিভূত হয়ে তাঁকে সুযোগ দিতে চায় আমেরিকায় গিয়ে টিম তৈরি করে গবেষণার জন্য।

উত্তরপাড়া সখের বাজার এলাকার বাসিন্দা সমর চৌধুরী। বছর ৪০-এর সমর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় থেকেই ভূতত্ত্ব ও ভৌগোলিক বিষয়ে তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল। পরবর্তীতে চাকরি জীবনে কাজের ফাঁকে শুরু করেন এই বিষয়ে গবেষণা। পিরামিড থেকে তাঁর প্রথম আকর্ষণ জন্মায় মেগালিটিস-এর প্রতি। মেগালিটিস বিষয়টি হল বৃহৎ আকৃতির পাথর যা প্রকৃতির তৈরি নয়। সেই থেকেই তার গবেষণা শুরু। গুগল আর্থ থেকে ভিডিয়ো সংগ্রহ করে তিনি প্রথমে তাঁর হাইপোথিসিস তৈরি করেন। মাস ছয়েক আগে থেকে তিনি কাজ শুরু করেন গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন নিয়ে।

সমর চৌধুরির দাবি, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নো তৈরি হয়েছে মেগালিথস দিয়ে। সেই গবেষণাপত্র তিনি জমা দেন সার্ভে অফ ইউনাইটেড স্টেটস-এ। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সেখান থেকে উত্তর মেলে ইউনাইটেড স্টেটস তাদের দেশে এই বিষয়ে গবেষণা করার জন্য আবেদন জানিয়েছে সমরকে। ই-মেল মারফত সেই আবেদন জানায় ইউনাইটেড স্টেটস অফ আর্কিওলজিক্যাল রিসার্চ। নিজের রিসার্চ ওয়ার্কের জন্য তারপর থেকেই আরও বেশি করে তোড়জোড় শুরু করেছেন সমরবাবু।

সমর চৌধুরির কথায়, মানুষ এখন মঙ্গল গ্রহে টেরা ফর্মিং করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই টেরা ফর্মিং হলো কৃত্রিম ভাবে সেখানের বায়ুমণ্ডল ও মাটির মধ্যে কিছু পরিবর্তন করা। যার ফলে সেখানে জীবের বসবাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি হতে পারে। সমর চৌধুরির দাবি, পৃথিবীতেও কয়েক লক্ষ কোটি বছর আগে এই টেরা ফর্মিং হয়েছে। যার ফলে পৃথিবীতে জীবের আবির্ভাব ঘটেছে। এবং এই টেরা ফর্মিং করেছে কোন অতি মানবীয় শক্তি, যারা অন্য কোথা থেকে এসেছিল। এই বিষয়ে গবেষণা করার জন্যই তাঁর ডাক এসেছে এখন ইউনাইটেড স্টেটস থেকে।

Related Articles