মঙ্গলবার বসিরহাটে সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের সব প্রশ্নের জবাব দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো

The Truth Of Bengal : ভোটের আগে বিরোধীরা অস্ত্র করে সন্দেশখালি ইস্যু। কিন্তু সন্দেশখালির আসল সত্য স্টিং অপারেশনে ধরা পড়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস।ভিডিয়োয় দেখা যায়, সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল স্বীকার করছেন,তাঁরা ২হাজার টাকার বিনিময়ে মিথ্যে নির্যাতনের গল্প তৈরি করেছিলেন।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গোটা পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন।টাকা আর মোবাইল দিয়ে বিরোধী দলনেতা চিত্রনাট্য সাজান বলে নিজের মুখে গঙ্গাধর ফাঁসও করেন।স্টিং অপারেশেন ভিডিয়ো বাংলা জাগো সত্যতা যাচাই করেনি।কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন,দুটি পর্বে প্রকাশিত ভিডিয়োয় পরিষ্কার,বিজেপি সন্দেশখালি ইস্যুতে ব্যাকফুটে।বেকায়দায় পড়ে রেখা পাত্রের স্বীকারোক্তিতেও।বিজেপির প্রার্থী স্বীকার করেন,রাষ্ট্রপতি ভবনে নির্যাতিতাদের সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।জানুয়ারি থেকে যে ইস্যুতে বিজেপি সহ বিরোধীরা তোলপাড় ফেলার চেষ্টা করছিল তাই দীর্ঘ ৪মাস পর বিরোধীদের বিড়াম্বনায় ফেলে।এই অবস্থায় মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,বসিরহাটে সভা করতে যাচ্ছেন।স্বভাবতই তিনি সন্দেশখালি নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতির জবাব দেবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ইতিমধ্যে,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সভায় সোচ্চার হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে সতর্ক করেন , টাকা দিলে টাকা পাওয়া যায়, কিন্তু মায়ের সম্মান চলে গেলে ফিরে পাওয়া যায় না। বাংলার মহিলাদের অসম্মান করতে গিয়ে আসলে বিজেপি বাংলার মাকে অপমানিত করেছেন বলে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি বিরোধী শিবিরের নেত্রী।
মঙ্গলবার বসিরহাট থেকে দেশবাসীকে তিনি কী বার্তা দেন তারই অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।সন্দেশখালি ঘটনার ফ্ল্যাশব্যাকে গেলে আমরা দেখতে চাই।কিভাবে বিরোধীরা এই ইস্যুতে রাজনীতির সলতে পাকাতে শুরু করে ? ৫জানুয়ারি রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ইডি-র আধিকারিকরা হেনস্থার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার মাঝে নজর ঘোরাতে নারী নির্যাতনের ইস্যু নিয়ে সরব হন বিরোধীরা।জানুয়ারিতে বিজেপি অভিযোগ করে সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিগর্ভ অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ-প্রশাসন।একে একে গ্রেফতার হন শিবু হাজরা,উত্তম সর্দার।পরবর্তী সময়ে ইডি শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে না পারলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন,তিনি কতটা রাফ অ্যান্ড টাফ।আইনের শাসনকে সবার উর্ধ্বে জায়গা দিতে তিনি যে কঠোর হতে পারেন সেই বার্তাও দেন প্রশাসনিক প্রধান। রাজধর্ম রক্ষায় নিজের দলের নেতাদের যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেয়াত করেন না তাও পরিষ্কার করে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি আসল ঘটনা কী তা জানতে তৃণমূল কংগ্রেস টিম পাঠায়।পার্থ ভৌমিক,সুজিত বোসের নেতৃত্বে তৃণমূলের টিমের সদস্যরা মহিলাদের আশ্বস্ত করেন,প্রশাসন রাজনীতির রং না দেখে অপরাধ দমন করতে বদ্ধপরিকর।তবুও বিরোধীরা সেই সন্দেশখালিকে রাজনৈতিক প্রচারের হাতিয়ার করে তোলে।বাংলা তো বটেই জাতীয় রাজনীতিতেও তাঁরা অস্ত্র করে সেই সন্দেশখালির মতো বিষয়কে।প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দিল্লির নেতারা এই বিষয়ে সর্বভারতীয় পর্যায়ে তৃণমূলকে বেঁধার জন্য উঠেপড়ে লাগে।আর স্টিং অপারেশনের পর বাংলা বিরোধী সন্দেশ দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মোদিকে তীক্ষ্ণ ভাষায় তোপ দাগছেন মমতা।তার মাঝে মঙ্গলবার বসিরহাট থেকে বিরোধীদের রাজনীতি নিয়ে কী জবাব দেন তৃণমূল সু্প্রিমো তাই শোনার অপেক্ষায় সবমহল।