স্ক্যাচ কার্ড কেলেঙ্কারির শিকার বেঙ্গালুরুর মহিলা খোয়া গেল ১৮লক্ষ টাকা !কিভাবে সচেতন থাকবেন ?
Bengaluru woman lost Rs 18 lakh in scratch card scam! How to be aware?

The Truth of Bengal: বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা এক মহিলা অত্যাধুনিক স্ক্র্যাচ কার্ড কেলেঙ্কারিতে ১৮ লাখ টাকা হারিয়েছেন। প্রতারকরা তাঁকে একটি জাল পুরস্কার দিয়ে প্রতারিত করেছিল এবং তার সম্মতিকে কাজে লাগিয়ে কর দাবি করেছিল। সাইবার ক্রাইম কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করা সত্ত্বেও, প্রতারকরা উধাও হয়ে যায়। সন্দেহজনক কার্যকলাপের অবিলম্বে রিপোর্ট করা যে জরুরি তা এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল।
কেন এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ? জানা গেছে,বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা বছর ৪৫-র মহিলা অত্যাধুনিক প্রতারণের খপ্পরে পড়েন।জানা গেছে,গত ২৮জানুয়ারি সাইবার তস্কররা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একটি খাম পাঠায়।ভিতরে একটি স্ক্যাচকার্ড রাখা ছিল।সেই স্ক্যাচকার্ডটি সরাসরি নির্দেশাবলী আকারে তুলে ধরা হয়। যাচাই করার জন্য মহিলা , স্ক্যামারদের দেওয়া প্রতারণামূলক নির্দেশাবলী অনুসরণ করে ফেলেন। তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে চিঠি, স্ক্র্যাচ কার্ড, খাম এবং তার আইডি কার্ডের ছবি শেয়ার করে ফেলেন। অফার দেওয়া হয়েছিল ১৫.৫১লাখ টাকার পুরস্কার মিলবে। সেই অনুযায়ী মহিলা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কিন্তু পুরস্কার জয়ের আনন্দ কিছুক্ষণের মধ্যে বিষাদে পরিণত হয়। খোয়া যায় ১৮লক্ষ টাকা।
যাইহোক, যাঁরা স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে ভাগ্য বদলানোর আশায় রয়েছেন তাঁরা এবার ভেবে দেখুন। প্রতারকরা আপনার বিচারবুদ্ধিকে সন্মোহনের মতো কব্জা করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিতে পারে।আধুনিক এই ছিনতাই বাড়ায় তাই সাবধান হোন। কোন সন্দেহজনক ঘটনা দেখলে বেঙ্গালুরুর প্রতারিত মহিলার মতো অবিলম্বে ঘটনাটি সাইবার ক্রাইম কর্তৃপক্ষকে জানান, যারা দ্রুত তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি উভয়ের অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করে।
স্ক্র্যাচকার্ড জালিয়াতি কি?
স্ক্র্যাচ কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি আপনার বিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারে।আপনাকে টোপ দিতে পারে যে, আপনি স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে একটি পুরষ্কার জিতেছেন। স্ক্যামাররা এই স্ক্যামগুলি করার জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে:
– জালিয়াতরা মিথ্যাভাবে জাল স্ক্র্যাচ কার্ডে জয়ের দাবি করে এবং পুরস্কার দাবি করার জন্য ফি প্রদানের দাবি করে। কখনও কখনও, তারা ব্যক্তিগত তথ্যও অনুরোধ করতে পারে, যা বৈধ পুরস্কারের জন্য প্রয়োজন হয় না।
– স্ক্যামাররা ই-মেলের মাধ্যমে জাল স্ক্র্যাচ কার্ড পাঠাতে পারে, তাতে আপনি ভাববেন বিষয়টি সত্যি।কিন্তু আদৌও তা নয়।প্রথম এমনকি তাঁরা শর্ত দিতে পারে, প্রাপককে পুরস্কার পাওয়ার জন্য প্রসেসিং ফি এবং ট্যাক্স হিসাবে একটি অগ্রিম অর্থ প্রদান করতে হবে। যাইহোক, এই ধরনের ক্ষেত্রে টাকা পাঠানো শুধুমাত্র আর্থিক ক্ষতির দিকে পরিচালিত করে।
কীভাবে প্রতারণা এড়ানো যায়?
স্ক্র্যাচ কার্ড জালিয়াতির শিকার হওয়া থেকে বাঁচতে এইসব সতর্কতাগুলি বিবেচনা করুন:
– আপনি যদি ই-মেল বা অন্যান্য উপায়ে একটি অযাচিতভাবে স্ক্র্যাচ কার্ড পান, তবে সতর্কতা অবলম্বন করুন, কারণ সেটি একটি জালিয়াতির ফন্দি হতে পারে।
– বৈধ লটারি এবং প্রচারমূলক অফারগুলির পুরষ্কার দাবি করার জন্য কোনও অর্থপ্রদানের প্রয়োজন নেই৷ যেকোন অর্থপ্রদানের অনুরোধ থেকে সতর্ক থাকুন।
– স্ক্র্যাচ কার্ডের বৈধতা সম্পর্কে অনিশ্চিত হলে, অনুসন্ধানের জন্য সরাসরি স্পনসরকারী কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করুন। বৈধ কোম্পানিগুলি পুরষ্কার দাবি করার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিতে পারে।
– স্ক্র্যাচ কার্ড পুরষ্কার দাবি করার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ বা পরিচয় প্রমাণের মতো ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন।
– যদি আপনি অজান্তে স্ক্র্যাচ কার্ড কেলেঙ্কারির শিকার হন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অবিলম্বে সাইবার ক্রাইম বিভাগের পুলিশ কর্মীদের তা সবিস্তারে জানান।