‘চাইলেই ছাড়পত্র আটকে দিতে পারতাম’, কার সম্পর্কে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Mamata Banerjee said 'I could have withheld the clearance if I wanted'

The Truth of Bengal: ‘আমি চাইলেই ওঁর ছাড়পত্র আটকে দিতে পারতাম। ওদের বেশি লোভ তো। ভাবলাম, যাক। টাকা করে আসুক। এলাকায় ডাক্তার নেই। উনি ভোটে লড়লে ডাক্তারি কে করবে? মানুষ পরিষেবা কোথায় পাবেন?’ ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী এই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাঃ প্রণত টুডু এখানে লড়ছেন বিজেপির প্রতীকে। পেশায় তিনি চিকিৎসক। ফলে মনোনয়ন দাখিল করার সময় তাঁকে ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট দিতে হয়। যে সার্টিফিকেট নিতে হয় রাজ্যের কাছ থেকে। সেই বিজেপি প্রার্থী সম্পর্কে মমতা বলেন, ‘‘আমি চাইলেই ওঁর (বিজেপি প্রার্থীর) ছাড়পত্র আটকে দিতে পারতাম।‘
উল্লেখ্য, এই ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট না দিতে পারায় মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় দেবাশিস ধরের। যিনি বিজেপি প্রার্থী হিসেবে বীরভূমে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। ভোটে লড়ার আগে এই আইপিএস রাজ্য পুলিশের আধিকারিক ছিলেন। চাকরি ছেড়ে ইনি ভোটে লড়তে এসেছিলেন। কিন্তু, ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট না দিতে পারায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। বিজেপির তরফে অভিযোগ করে বলা হয়, রাজ্য সরকার ইচ্ছা করেই ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট না দিয়ে তাঁকে ভোটে লড়তে দেয়নি।
যা হয়েছিল নিয়ম মেনে হয়েছিল, এদিন সেটাই বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাইলেই রাজ্য সরকার ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট না দিতে পারতো। তা হলে তিনি ভোটে লড়তে পারতেন না। কিন্তু, রাজ্য সরকার তা করেনি। আটকানো হয়নি বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন। এদিন তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে ঝাড়গ্রামের সভায় তা জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।