আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া! অভিযোগ আমেরিকার

Russia Ukraine War

The Truth of Bengal: রাশিয়া-ইউক্রেন এই দুই দেশের মধ্যে চলমান যুদ্ধ অব্যাহত। তবে এই যুদ্ধে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া  রায়ায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এমনই অভিযোগ তুলেছে আমেরিকা। তাদের বিদেশ দফতরের দাবি, যুদ্ধক্ষেত্রে ‘ক্লোরোপিকরিন’ নামে একটি রাসায়নিক ব্যবহার করেছে রুশ বাহিনী। এটি প্রতিপক্ষের সেনার শ্বাসরোধ করে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। উল্লেখ্য, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা নিয়ে যুদ্ধের গোড়া থেকেই রাশিয়াকে সতর্ক করে আসছে আমেরিকা। তবে রাশিয়া কোনকিছুতেই কর্ণপাত করেনি। কোনও নিয়মই মানেনি মস্কো। আমেরিকার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ম্যালোরি স্টুয়ার্টের দাবি, যে রাশিয়া কখনোই এই নিয়ম মানেনি।

তবে যুদ্ধ শুরুর পরপরই ২০২২-এর মার্চ মাসে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলে তার দাম চোকাতে হবে রাশিয়াকে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন যেমন কাজ করবে ঠিক তেমন ব্যবহার পাবে রাশিয়া। এমনই মন্তব্য করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইজেন।  তবে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে ক্রেমলিন সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও আমেরিকার দাবিকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না ইউরোপ। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ আজ হুমকি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘রাশিয়া যদি গায়ের জোর দেখায় এবং ইউক্রেন যদি অনুরোধ করে, তা হলে ফ্রান্স তাদের স্থলবাহিনী নামিয়ে দেবে।’’ অর্থ্যাত্ সবমিলিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা যে অভিযোগ সামনে এনেছে তা যদি সত্যি হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে রাসায়নিকের কথা বলা হচ্ছে সেই ‘ক্লোরোপিকরিন’ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। এটি একটি তৈলাক্ত পদার্থ। এটি শরীরে প্রবেশ করে ফুসফুস, চোখ, ত্বকে প্রদাহ শুরু করে। বমি শুরু হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ডায়েরিয়া, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা যায়। যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করতে রাশিয়া এই রাসায়নিকটি ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ। সিডব্লিউসি অনুযায়ী যুদ্ধে ক্লোরোপিকরিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ। ওপিসিডব্লিউ-এর তালিকায় এটি ‘চোকিং এজেন্ট’ হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে। আমেরিকার বিদেশ দফতরের দাবি, মস্কো নিয়মিত ভাবে এই এজেন্টটি যুদ্ধে ব্যবহার করেছে। এ ছাড়াও ‘রায়ট কন্ট্রোল এজেন্টস’ বা কাঁদানে গ্যাস ছড়িয়েছে। এদিকে এ বছর গোড়ার দিকে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল, রুশ বাহিনী সিএস এবং সিএন কাঁদানে গ্যাসভর্তি গ্রেনেড ছুড়েছিল। বিষাক্ত গ্যাস কমপক্ষে ৫০০ ইউক্রেনীয় সেনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃত্যুও ঘটেছিল। সবমিলিয়ে, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে ইউক্রেনের অনুরোধে ইউরোপও যে ছেড়ে কথা বলবে না তা স্পষ্ট। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।

Related Articles