তাপপ্রবাহ সতর্কতা: তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে এড়ানো যায় অজ্ঞান হওয়া
Heatstroke Warning: How to Avoid Fainting as Temperatures Rise

The Truth of Bengal: তাপপ্রবাহ জারি আছে কয়েকটি রাজ্যে। চলতি সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে ‘সিভিয়ার’ পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণের আরও কয়েকটি রাজ্যও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে। এই সময় অতিরিক্ত তাপমাত্রা শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যার ফলে জলশূন্যতা থেকে স্ট্রোক হতে পারে। যা অনেক সময় মারাত্মক হয়ে দাঁড়াতে পারে। কাজের জন্য বহু মানুষকে দীর্ঘ সময় রোদে বাইরে থাকতে হয়। তাদের ক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। যা সম্পূর্ণরূপে এড়ানো যায়।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া কী?
বাহ্যিক তাপমাত্রার ওপর ভিত্তি করে শরীর নিজের মতো করে তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু যখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন শরীর সেই প্রক্রিয়া বজায় রাখতে অক্ষম হয়। অত্যাধিক ঘামের কারণে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং অজ্ঞান হয়ে যায়। অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় ‘সিনকোপ’।
গরম আবহাওয়ায় শরীর তার অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করে। সেই প্রক্রিয়ায় ঘাম সবচেয়ে সাধারণ কৌশলগুলির মধ্যে একটি। এটি শরীর থেকে জল বের করে দেয়। যা ডিহাইড্রেশনের দিকে নিয়ে যায়। শেষে অজ্ঞান হয়ে পড়ে মানুষ। তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে এমন পরিস্থিতি বেশি দেখা দেয়। জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অক্ষয় ধামনে।
মানবদেহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরম এবং ঠান্ডা উভয় তাপমাত্রায় অজ্ঞান হতে পারে মানুষ। অত্যধিক ঘামের কারণে ডিহাইড্রেশন এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা হতে পারে। মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ ব্যাহত করে এবং অজ্ঞান হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। উল্টোদিকে, ঠান্ডা তাপমাত্রায় রক্তনালীগুলি তাপ সংরক্ষণের জন্য সংকুচিত হয়। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে রক্ত প্রবাহ হ্রাস করে এবং অজ্ঞান হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়।
অজ্ঞান হওয়ার সতর্কতা লক্ষণগুলি কী কী?
মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, তীব্র তৃষ্ণা এবং ক্লান্তি অনুভব হতে পারে। প্রতিরোধ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল ঢিলেঢালা এবং হালকা রংয়ের পোশাক পরা। প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা। পার্ক করা গাড়িতে থাকা যাবে না। তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেলে বাইরে না যাওয়া।
কীভাবে মূর্ছা যাওয়া এড়ানো যায়?
এই সময় মদ্যপান শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গ্রীষ্মে মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। দিনে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ।