লাইফস্টাইল

অফিসের টক্সিক পরিবেশ আপনার মন খারাপের কারণ? মন ভাল রেখে কাজের গতি বাড়াতে ডেস্কে রাখুন এই ১০টি গাছ

Indoor Plants for Office Desk

The Truth of Bengal: বাড়ির বাইরে কাজের জায়গায় আমরা সবচেয়ে বেশি সময় কাটাই। তাই সেই জায়গা যাতে মলিন, প্রাণহীন না হয়ে যায় তার জন্য যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। অফিসের ডেস্কে একটুকরো সবুজের সমারোহ থাকলে তা যেমন একদিকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তেমনই কাজের আউটপুটও বাড়ায়। সব সময় বসে বসে কাজ করে যাবেন না। ডেস্কে থাকা বা অফিসের অন্দরে থাকা গাছেদের চারপাশে ঘুরে আসুন। দেখবেন মন কতটা শান্ত লাগছে। কতটা এনার্জাইজড, খুশি লাগছে। গাছ, ফুল, ফল, টাটকা বাতাসে নিজেরও কতটা তরতাজা লাগছে। একটি গ্লোবাল সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কাজের জায়গা যত প্রাকৃতিক পরিবেশ হবে, যত বেশি পরিমাণে গাছপালা থাকবে তাতে কর্মীদের সুস্বাস্থ্য ও প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে।  কাজের জায়গায় সবুজের সমারোহ আমাদের মনঃসংযোগ বাড়ায়, লক্ষ্যে স্থির থাকতে সাহায্য করে। মানসিক উদ্বেগ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। কাজের জায়গার আশপাশে গাছপালা থাকলে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কমেছে ৩৭%, মানসিক অবসাদ কমেছে ৫৮%, রাগ, ক্রোধ কমেছে ৪৪% ও ক্লান্তি অবসন্ন ভাব কমেছে ৩৮%। এছাড়াও গাছ হল প্রাকৃতিক সুপার পাওয়ার যা শব্দদূষণ আটকায়। কাজের জায়গায় সবুজের সমারোহ থাকলে ক্রিয়েটিভিটি বাড়ে। ফিল গুড অনুভূতি আসে।

অফিসের ডেস্কে কোন কোন ইন্ডোর প্লান্ট রাখতে পারেন—
১) পিস লিলি: বেশি জল দিতে হয় না। খুব বেশি বড়ো হয় না আকারে। যখন ঝিমিয়ে পড়ে তখনই জল দিতে হয়।
২) বাম্বু বা বাঁশ ডেস্কে অনায়াসে রাখা যায়। বেশি বড়ো হয় না। ৭-১০ দিন অন্তর জল বদলাতে হয়।
৩) কষ্টসহিষ্ণু গাছ হল কাস্ট আয়রন প্লান্ট। বেশি জল দিতে হয় না। আড়াইফুটের মতো উচ্চতা হয়।
৪) ঘরের মধ্যে দূষণ আটকায় জেডজেড প্লান্ট। ২-৩ সপ্তাহ ছাড়া ছাড়া মাটি একেবারে শুকিয়ে গেলে জল দিতে লাগে। খুবই ধীরে ধীরে বাড়ে এই গাছ।
৫) হৃদয়ের আকৃতির পাতা হয় পথোজের। কম আলোতেও থাকতে পারে এই ভার্সেটাইল গাছ। সরাসরি সূর্যের আলোয় পাতার ওপর হলুদের ছটা দেখা যায়।
৬) পান পাতার আকৃতির পাতা হয় মানিপ্লান্টের। খুব সহজে বেড়ে ওঠে। বেশি যত্ন করতে হয় না।
৭) স্নেক প্ল্যান্ট: আকার ও টেক্সচারের জন্য একে ‘মাদার-ইন-ল’ বা শাশুড়ির জিভ বলেও ডাকা হয়। পরিচর্যা করতে ঝক্কি পোয়াতে হয় না। শুধু ঠিক পরিমাণে জল দিতে হয়। কষ্ট সহিষ্ণু এই গাছ প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বেড়ে উঠতে পারে। বাতাসে থাকা ক্ষতিকারক বেঞ্জিন, ফরমালডিহাইড, জাইলিন, টোলুইন, ট্রাইক্লোরোইথলিন শুষে নিতে সক্ষম স্নেক প্ল্যান্ট। কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে রাতে অক্সিজেন ছাড়ে স্নেক প্ল্যান্ট।
৮) স্পাইডার প্ল্যান্ট: স্পাইডার প্ল্যান্টকে এয়ার প্ল্যান্ট বলেও ডাকা হয়। খুব সহজে ও তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। ডিটারজেন্ট, রঙ, ফার্নিচার ওয়াক্স, থিনার থেকে আসা দূষণ সৃষ্টিকারী কার্বন মনোক্সাইড, বেঞ্জিন ও ফরমালডিহাইডকে শুষে নিয়ে বাতাস বিশুদ্ধ করে স্পাইডার প্ল্যান্ট। স্পাইডার প্ল্যান্টেরও এক টুকরো পাতা কেটে নিয়ে টবে পুঁতে দিন। দেখুন কামাল, কীভাবে আপনাআপনি বেড়ে উঠছে। সরাসরি সূর্যের আলো বা প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়ায় রাখার প্রয়োজন নেই। আলো বাতাস চলাচল করে এমন উজ্জ্বল খোলামেলা পরিবেশে রাখলেই হবে। অফিস করিডরে রাখলে খুব সহজেই বেড়ে উঠবে স্পাইডার প্ল্যান্ট। প্রায় ২০০ রকমের প্রজাতি পাওয়া যায়।
৯) ব্যাম্বু পাম: অফিসের ডেস্কে টবে রেখে দিন ব্যাম্বু পাম বা রিড পাম। নিয়মিত রোজ জলও দিতে হয় না। সহজে বেড়ে ওঠা এই ইন্ডোর প্ল্যান্ট খুব ভালো ভাবে বেঞ্জিন, ফরমালডিহাইড, ট্রাইক্লোরোইথলিন, জাইলিন আর টোলুইন বাতাস থেকে শুষে নিতে সক্ষম।
১০) চাইনিজ এভারগ্রিন: খুব সহজ পরিচর্যায় বেড়ে ওঠে এই গাছ। কম থেকে মাঝারি আলোর দরকার। এক থেকে দু ফুট পর্যন্ত উচ্চতা হয়।

Related Articles