দিল্লিতে বহিরাগতদের বদল চাই, নতুন সরকারের ফর্মুলা দেবে তৃণমূল
Want transfer of foreigners in Delhi

The Truth of Bengal: বিজেপি যে হিন্দুত্বের কথা বলছে,তা আসলে বহিরাগত দস্যুদের ধর্ম। কখনই রামকৃষ্ণ –বিবেকানন্দের ধর্ম নয়।দিল্লির নেতাদের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গিপুরের সুতিতে দাঁড়িয়ে আবেদন করেন। লোকসভার লড়াইয়ে ইন্ডিয়া জোট জয়ী হয়ে সরকার গড়লে মানুষকে স্বস্তি দেওয়াই হবে তাঁর কাজ।মূল্যবৃদ্ধি থেকে যুবসমাজের কর্মসংস্থানই যে অগ্রাধিকার পাবে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
ভারতীয় হিন্দু ধর্ম কখনই অসহিষ্ণুতাকে প্রশয় দেয় না। বলে না, মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভেদ ঘটাও।এই হিন্দুত্ব রামকৃষ্ণ –বিবেকানন্দের ধর্ম নয়,এই হিন্দুত্ব আসলে বহিরাগত দস্যুদের ধর্ম।প্রচারসভায় ঠিক এই ভাষাতেই বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তোপ, বর্তমানে বিজেপি রামের নামে অশান্তি ছড়িয়ে ভোটের ফায়দা তুলতে চায়। দেশে ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি লাগু করে দিল্লি দখলে রাখতে চায়। রামনবমীতে মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জেলায় অশান্তির অপচেষ্টার কথা তুলে ধরে এবার মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এই বিভাজনের জন্যই দেশ পিছিয়ে পড়ছে।মূল্যবৃদ্ধি,বেকারত্বের মতো সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর কুচক্রীদের রাজনীতিকে পরাস্ত করার জন্য আরও চড়া সুরে সোচ্চার হলেন তিনি। মানুষের জন্য রাজনীতির লড়াই চরমে নিয়ে যেতে তিনি মাটি কামড়ে লড়বেন বলেও বার্তা দেন।একইসঙ্গে বুঝিয়ে দেন,১০বছর ধরে মোদি –শাহরা যে মৌলিক ইস্যু থেকে দেশবাসীকে ভুলিয়ে রেখেছেন।দিল্লিতে পরিবর্তনের সরকার এলে মূল্যবৃদ্ধি,বেকারত্বের মতো জনস্বার্থবাহী ইস্যুতে ফোকাস করবে বিরোধী জোট।মানুষকে স্বস্তি দেওয়াই দিতে তিনি ফর্মূলা দিতে চান বলে খলিলুর রহমানের সমর্থনে প্রচার সভা থেকে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুর্শিদাবাদে বহরমপুরের মতোই কিছু এলাকায় কংগ্রেস ফ্যাক্টর।সেই কংগ্রেসের হাত ধরেছে সিপিএম।তাই বাম-কংগ্রেসের বোঝাপড়াকে তুলোধনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।তাঁর মতে একুশের ভোটে বিজেপিকে হারিয়েছে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস।কংগ্রেস বা সিপিএম কখনই বিজেপিকে হারাতে পারবে না। বাংলাই পারবে গেরুয়ারাজের উত্খাত করে কেন্দ্রে প্রকৃত জনবন্ধু সরকার গড়তে এই দাবিও করেছেন তিনি।তাই দিল্লির জন্য লড়াই সার্থক করতে এরাজ্যে অন্যদলকে ছেড়ে বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূলকে বেছে নেওয়ার ডাকও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।