পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন, ক্ষমা চাইলেও সুপ্রিম ভর্ৎসনা রামদেবকে
Ramdev in more trouble in misleading advertisement case

The Truth of Bengal: বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলায় আরও বিপাকে রামদেব। নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েও মিলল না রেহাই। সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে যোগগুরু রামদেব। স্বস্তি পেলেন রামদেবের সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ। মঙ্গলবারের শুনানিতে অবশ্য নিজের ভুলের কথা স্বীকার করে নেন রামদেব। তাও রামদেবের সংস্থার বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের’ সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
অ্যালোপ্যাথির দিকে আঙুল তুলে তাঁর আয়ুর্বেদ সংস্থার পণ্যের বিজ্ঞাপন করেছিলেন যোগগুরু রামদেব। সেই বিজ্ঞাপন সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায়। রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। আইএমএ-এর অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও আনা হয়েছিল রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে।
এর আগেও পতঞ্জলির ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন’ মামলায় আবার সুপ্রিম কোর্টের রোষের মুখে পড়েছিলেন রামদেব। গত ৯ এপ্রিল আদালতে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন রামদেব। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, পুরো বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের উত্তরে সন্তুষ্ট নয় শীর্ষ আদালত। কেন এমন বিজ্ঞাপন চলতে দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। মঙ্গলবার এই মামলায় রামদেবকে রেহাই দিল না শীর্ষ আদালত।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন পতঞ্জলি সংস্থার প্রধান আচার্য বালকৃষ্ণ ও যোগগুরু রামদেব। আদালতে তাঁদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করতে চান তাঁরা। আদালত অমান্য করার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমা চাইবেন অভিযুক্তরা। পাশাপাশি আদালতে রামদেব জানান, আগামী দিনে তিনি এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু ‘করোনিল কিট’ বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। আর তার জন্য ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলে আইএমএর। মঙ্গলবার রামদেবের বক্তব্য শোনার পর আদালত জানায়, কেন ক্ষমা করা হবে, সে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত।