রাজ্যের খবর

বিজেপির একনায়কতন্ত্র হঠানোর ডাক, ভয় মুক্ত দেশ এককাট্টা লড়াই

Mamata Banerjee raised the tone of change in Delhi in seventh

The Truth of Bengal: দেশে আর নির্বাচন থাকবে না,কেউ আর ভোট দিতে পারবে না।থাকবে না যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো,দেশকে স্বাধীন রাখতে চাইলে বিজেপিকে হঠাতে হবে। কোচবিহার-আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে দিল্লিতে পরিবর্তনের সুর সপ্তমে তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ডর পান না,ভিতু নন,বিজেপিকে হারাবেন।ভোটের পর দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটকে জোরদার করবেন বলে কথা দেন। বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে পরোক্ষে বিজেপিকে সাহায্য করা বলেও স্পষ্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপির ইস্তাহারে এক দেশ এক ভোট নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।কেন্দ্রীকরণের সেই রাজনীতির বিরুদ্ধে এবার রাজ্যের মানুষকে এক হওয়ার ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিরোধী শিবিরের অন্যতম নেত্রীর মতে, এই নীতি কার্যকর করা হলে দেশে আর কখনও ভোটই হবে না। কেউ ভোট দিতে পারবেন না,দিল্লিতে  তৈরি হবে স্বৈরাচারী সরকার।সোমবার কোচবিহারের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া ও আলিপুরদুয়ারের বুলুচিক বরাইকের  সমর্থনে প্রচারে গিয়ে বিজেপির ইস্তাহার নিয়ে  আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, দেশে আর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো থাকবে না। রাজ্যগুলো আর থাকবে না। দেশে ভোট হবে না।একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। বিজেপি প্রস্তাবিত নীতিকে কটাক্ষ করে  তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন, ‘‘এক দেশ, এক ভোট মানে এক নেতা, এক খাবার, এক ভাষা, এক ভাবনা।   দেশকে যদি স্বাধীন রাখতে  গেলে বিজেপিকে হঠাতে হবে। তিনি ভিরু নন,দিল্লি থেকে বিজেপিকে হঠাতে এবার অলআউট লড়াইয়ের সুর চড়ান তিনি।

বিজেপির ইস্তাহারে  অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ চালুর কথা প্রচার করা হচ্ছে।সমাজের নানা অংশের মানুষের আলাদা আলাদা বিয়ে রয়েছে।সেইসব বিবাহ আইন বিজেপি বিলোপ করতে চায়।আদিবাসীদের বিয়ের রীতিও তাঁরা রাখতে নারাজ।উত্তরবঙ্গের মানুষের দুর্দিনের সঙ্গী হয় না বিজেপি।তাঁরা অধিকার কেড়ে নিয়ে সর্বগ্রাসী শক্তি কায়েম করতে চায়।ভিড়ে ঠাসা সভায় মমতার অভিযোগ ‘‘বিরোধীদের আওয়াজ কেড়ে নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেউ আওয়াজ করলে জেলে পুরে দেওয়া হচ্ছে।

রাজ্যের অফিসারদের কমিশন বদল করলেও কমিশন কেন কেন্দ্রের আধিকারিকদের গায়ে হাত দেয় না সেই প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  শুক্রবার ভোট রয়েছে প্রথম দফার। কোচবিহার,আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে নির্বাচন হবে।সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের ব্যবস্থা রয়েছে।গতবার শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে।সেই দুঃসহ স্মৃতির কথা তুলে বুঝিয়ে দেন গেরুয়ারাজের জুলুম হঠানো ছাড়া পথ নেই। দেশে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করতে চাইলেও বাংলায় যেহেতু বিজেপিকে তৃণমূলই হারাতে পারে,তাই বাম-কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে ঘাসফুলের প্রতীককে সমর্থন করার আবেদনও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Related Articles