
The Truth of Bengal: সীমান্ত এলাকার মানুষের হাল ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার । কিন্তু সেই কথা রাখেননি জগন্নাথ সরকার। তাই অবহেলিত বানপুরের মানুষ প্রশ্ন তুলছেন,একরাশ আশা বুকে নিয়ে গতবার তাঁরা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।কিন্তু সীমান্তের মানুষের প্রতি কোনও উন্নয়নের কাজই করেননি বিজেপি সাংসদ। বঞ্চিত এলাকার ভোটের কথাই উঠে এল আমাদের প্রতিবেদনে..
সীমান্তবাসীর কথা বিজেপি ভোটের সময় বলে। দেশপ্রেমের জিগির তুলতে সীমান্তের মানুষের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দেয়। গতবারও নির্বাচনের সময় বিজেপির প্রার্থী জগন্নাথ সরকার কৃষ্ণগঞ্জের মাটিয়ারির বানপুরের ভোলবদলে দেওয়ার কথা দেন।কিন্তু ৫বছর কেটে গেলেও বানপুরে উন্নয়নের বান ডাকেনি ভজনঘাট,নোনাগঞ্জ,পুটিখালি, নালুপুর এলাকার ছবিটাই বদলায়নি। গেদে সীমান্ত এলাকায় চলার পথ হলেও বাকি এলাকায় পরিকাঠামোর কোনও উন্নতিই হয়নি। বেহাল অবস্থায় বাড়ছে ক্ষোভ,অসন্তোষ। তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ
ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু ভোটারদের প্রত্যাশাপূরণ হয়নি। তিমিরেই থেকে যায়,তেপান্তরের মানুষগুলো।ঝাঁচকচকে রাস্তা হয়নি,মেলেনি অনেককিছুই। ঝড় উঠলেই বুক কাঁপে। কখন যে ঝড়ের দাপটে ঘর উড়ে যায় এই আশঙ্কা রয়েই যায়।কারণ পাকা ঘরের গ্যারান্টিমতো কাজ করেনে কেন্দ্রের সরকার।টালবাহনার রাজনীতির শিকার এই বাংলাদেশ সীমান্তের আদিবাসীও সংখ্যালঘু মানুষগুলো। চাষি থেকে দিন আনি দিন খাই মানুষগুলোর জীবন-জীবিকার কোনও বদল হয়নি। দীর্ঘশ্বাস ফেলা মানুষগুলো বলছেন, কবে দিনবদলের স্বপ্নপূরণ হয় সেদিকেই তাঁরা তাকিয়ে।কেউ কেউ বলছেন, কংগ্রেস সাংসদ আনন্দমোহন বিশ্বাস যেটুকু কৃষির উন্নতি করেন,তারপর আর সেভাবে কোনও সাংসদ এই প্রান্তিক এলাকায় চোখ চেয়ে দেখেনি।
এখানকার শ্রমিকদের বাংলার বাইরে যেতে হয়। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হয়।বিজেপির সাংসদ এই এলাকার উন্নয়নের জন্য কোনও পরিষেবারই ব্যবস্থা করেনি।দেয়নি কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ।তাই অবহেলিত-বঞ্চিত মানুষগুলো নিরাশ মনে পথ চলতে গেলেও বারবার থমকে দাঁড়াচ্ছেন।ভাবছেন স্বাধীনতার এতবছর পরেও কেন বদলাল না এই ভারতের প্রান্তিক এলাকার ছবিটা।প্রতিশ্রুতির ঝুলি নিয়ে যাঁরা ভোট চাইতে আসেন তাঁরা কেন কৃষ্ণগঞ্জের রূপ বদলের কারিগর হয়ে উঠছেন না ? মানুষের উন্নয়ন না করে একোন দেশপ্রেমের স্বপ্ন ফেরি করতে চাইছেন কেন্দ্রের শাসকদলের প্রতিনিধিরা।