কলকাতা

শিক্ষামন্ত্রীকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের, ‘উনি সীমা ছাড়াচ্ছেন’ পাল্টা ব্রাত্য

Governor's recommendation to remove Education Minister, 'He is overstepping his bounds' counters Bratya

The Truth of Bengal: রাজভবন ও বিকাশ ভবনের মধ্যে সংঘাতের আবহে নতুন মাত্রা। মন্ত্রিসভা থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে অপসারণের সুপারিশ করে নবান্নে চিঠি। রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করেছেন এবং নিজের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে এনেছেন বলে পাল্টা তোপ ব্রাত্য বসুর।মন্ত্রিসভা থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সরানোর সুপারিশ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে ব্রাত্যকে অপসারণের সুপারিশ করে নবান্নে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এই ধরনের অভিযোগ করে রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করেছেন এবং নিজের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে এনেছেন বলে পাল্টা তোপ দেগেছেন ব্রাত্য বসু।

প্রসঙ্গত, মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য। সভাপতি হিসেবে সেখানে উপস্থিত থেকে তিনি রাজনৈতিক আলোচনা করেছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করছেন রাজ্যপাল। তাই তিনি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সরানোর সুপারিশ করেছেন বলে রাজভবন সূত্রের খবর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর কেন এই রাজনৈতিক বৈঠক হল? এই প্রশ্ন তুলে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়েও দেন রাজ্যপাল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে পদে পুনর্বহাল করে রাজ্য সরকার। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন ধরেই রাজভবন এবং শিক্ষা দফতরের মধ্যে সংঘাত চলছে। উপাচার্যের পর এবার সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সরানোর সুপারিশ করলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের এই দাবি সামনে আসতেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন ব্রাত্য বসু। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে আমি রাজ্যপালের অপসারণের সুপারিশ করলে যা হবে সেটা যতটা হাস্যকর হবে, এটা ততটাই হাস্যকর। আমি বিধিভঙ্গ করলে কোনও রাজনৈতিক দলের সেটা কমিশনের নজরে আনার কথা, তার পর পদক্ষেপ করার কথা কমিশনের। এই ধরনের অভিযোগ করে উনি সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করেছেন এবং নিজের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে এনেছেন। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, মন্ত্রীর নিয়োগ বা অপসারণ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। উনি শুধু নিজের আসল রং দেখাননি, নিজের সাংবিধানিক সীমাও ছাড়িয়ে গিয়েছেন।‘

অন্যদিকে, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের রিপোর্ট কার্ডের পাল্টা দিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের দাবি, ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। রাজ্যকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রেও একক সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত মনে করছেন তিনি। রাজ্য সরকার দাবি করেছে, রাজ্যপাল যা বলছেন তা যুক্তিযুক্ত নয়। রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডের জবাবে রাজ্যের দাবি, বাংলার ইতিহাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও রাজ্যপালই এমন ভূমিকা নেননি যা সিভি আনন্দ বোস নিয়েছেন। এতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়ছেন বলে দাবি করা হয় রাজ্যের রিপোর্টে।

Related Articles