‘CAA আতঙ্কে আত্মঘাতী যুবক’, বিজেপিকে তোপ অভিষেকের
'Youth who committed suicide in fear of CAA', top Abhishek to BJP

The Truth of Bengal: সিএএ ও এনআরসি নিয়ে ফের সরব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজিনগরের যুবকের আত্মহত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কাটীয়ার জনসভা থেকে তোপ দাগলেন বিজেপিকে। তার সাফ বক্তব্য, আপনাকে পাসপোর্ট দেখিয়ে প্রমাণ করতে হবে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান নাকি আফগানিস্তানের পাসপোর্ট আছে তা দেখাতে হবে। এটা জুমলা। আমি বলব জুমলার ফাঁদে পা দেবেন না। এদিন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় জনগর্জন সভা থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন। অভিষেক বলেন, ‘গতকাল ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড টালিগঞ্জে, ৩৩ বছরে একজন তরজাতা তরুণ কাগজ খুঁজে পাচ্ছে না বলে আতঙ্কে ভয়ে আত্মহত্যা করেছে, এনআরসি-র ভয়ে, সিএএ-র ভয়ে।’
এরপর তার পরামর্শ, এটা জুমলা। আমি বলব জুমলার ফাঁদে পা দেবেন না। নেতাজিনগরে এক যুবকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, সিএএ আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। মৃত যুবকের নাম দেবাশিস সেনগুপ্ত। নেতাজিনগরে ওই যুবকের মামাবাড়িতে দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সিএএ লাগু হয়ে যাওয়ার পরেই নাগরিকত্ব নিয়ে আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। যার জেরে আত্মহত্যা। থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। অভিষেকের নির্দেশ বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী যুবকের বাড়িতে গিয়েছিল তৃণমূল প্রতিনিধি দল। স্বাভাবিক ভাবেই এদিন যে তাঁর বক্তব্যে এই বিষয়টি থাকবে তা নিশ্চিত ছিল।
সিএএ-কে কেন্দ্রীয় সরকারের জুমলা বলে কটাক্ষ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের সরকার কথা দিয়ে কথা রাখে। বহিরাগতদের দিতে হবে। এরা নির্বাচনের আগে বলছে আমরা সিএএ করব। আপনি সিএএ আইন পাস করেছেন ২০১৯ সালে। আর নিয়ম তৈরি করতে লেগে গেল ৫ বছর। সিএএ যে নোটিফিকেশন হয়েছে সেটা আর একটা জুমলা। যে নোটিফিকেশন হয়েছে তার ৪০ পাতার মধ্যে ৩৮ পাতা হল ফর্ম। মানে আপনি ফর্ম ফিলআপ করুন, তারপর কবে নাগরিকত্ব পাবেন, কার কাছে যাবেন, কোথায় আবেদন নিবেদন করবেন কিছুই লেখা নেই। এদিনের সভা থেকে শুধু সিএএ নয় আরও অনেক বিষয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন অভিষেক।