কিনতে হচ্ছে না মিড ডে মিলের সবজি,শিক্ষক-পড়ুয়াদের যৌথ উদ্যোগে স্কুলেই চাষ হচ্ছে হরেক সবজি
Various vegetables cultivated in hoogly school

The Truth of Bengal: স্কুলে মিড ডে মিলে লাগে নানা সবজি। এতদিন কিনে ব্যবহার করা হতো সেই সবজি। উদ্যোগ নেওয়া হয় স্কুলে সেই সবজি চাষের। যেমন ভাবা তেমন কাজ। স্কুলে চাষ করা সবজি ব্যবহার করা হচ্ছে মিড ডে মিলে। হুগলির গোঘাট এক নম্বর ব্লকের গোঘাট হাইস্কুলে চাষ হচ্ছে নানান রকম মরসুমি শাকসবজি। কোনও রকম রাসায়নিক সার ছাড়াই সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে ফলানো সবজি মিড ডে মিলে খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। পড়ানোর পাশাপাশি এই সবজির বাগান দেখভাল করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাদের সহযোগিতা করছে পড়ুয়ারা।
স্কুলের কিচেন গার্ডেনে লঙ্কা থেকে মূলো, বেগুন, লাউ, আলু, লাল শাক, পালং শাক, সীম প্রভৃতি চাষ হচ্ছে।সৌন্দর্য বাড়াতে নানা ধরনের ফুলের গাছও বসানো হয়েছে স্কুলে। ছাত্রাবাস ও স্কুলের পুয়াদের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জনের মতো খাবার রান্না হয়। রান্নায় ব্যবহার করা সমস্ত সবজি উতপাদিন হচ্ছে স্কুলের কিচেন গার্ডেনে। কোনও রকম রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হচ্ছে না। সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে ফলছে সবজি। উদ্যোগে মূলত শিক্ষক-শিক্ষিকারা থাকলেও পড়ুয়ারা হাত মেলায় তাদের সঙ্গে। স্কুলে শাকসবজি চাষ হওয়ায় রোজকার চেনা মেনুতে আসছে বদল।
বাজার থেকে কেনা শাকসবজির বদলে সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে সবজি খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে পড়ুয়ারা। স্কুল চত্বরকে দেখে মনে হবে চাষের জমি। সেখানে ফলে আছে নানা রকম সবজি। এই কিচেন গার্ডেনের হাত ধরে বদলে গিয়েছে স্কুলের সার্বিক পরিবেশ। নিয়ম মেনে পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি সময়টা কিচেন গার্ডেনে দিতে পারছেন শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। সম্প্রতি ব্লক প্রশাসনের তরফে এই কিচেন গার্ডেনের জন্য আর্থিক সাহায্য পেয়েছে স্কুলটি। ফলে সবজি বাগান নিয়ে উৎসাহ আরও বেড়েছে।