রাজনীতি

বকেয়া না দিলে গদি ছাড়ুক বিজেপি ,পাট্টার অধিকার দিয়ে মাস্টারস্ট্রোক মমতার

Mamata Banerjee

The Truth of Bengal: বাংলার টাকা দিন,নাহলে গদি ছাড়ুন। দিল্লি চলোর আগে আরও সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আলিপুরদুয়ারের পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান থেকে খেটেখাওয়া মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বিজেপি সরকারের প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।রাজ্যের টাকা এই জিএসটির মাধ্যমে তুলে নিয়ে গেলেও কেন কেন্দ্র তা দেবে না সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।কেন্দ্রের সরকারকে দাবি পেশ করতে  তিনি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন সেই প্রসঙ্গ উত্তরবঙ্গের মাটি থেকে দাঁড়িয়ে আরও একবার মনে করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী,  ১৭ডিসেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।সঙ্গে যাবেন সাংসদরা।প্রধানমন্ত্রী এখনও সময় দেননি।সময় দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রশাসনিক প্রধান।এই মঞ্চ থেকে বিজেপি আর তৃণমূলের রাজনৈতিক ভাবনার তফাত কোথায়,তাও বুঝিয়ে বলেন তিনি। উনিশে বিজেপি উত্তরবঙ্গের ৮টির আসনের মধ্যে ৭টিতে  জেতে।ভোটে জেতার জন্য দিল্লির নেতারা বাগান খুলে দেওয়া থেকে শুরু করে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

কিন্তু তাঁরা সেকথা রাখেনি।কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বাংলার সরকার চা বাগানের শ্রমিকদের বেতনবৃদ্ধি থেকে চাসুন্দরীতে বাড়ি নির্মাণ,সবই করছে।অসম-ত্রিপুরার বিজেপি সরকার যা পারেনি তা করে দেখাল তৃণমূল সরকার। রবিবার পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান থেকে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতিপূরণ না করলেও বাংলার সরকার প্রতিশ্রুতিমোত কাজ করে। বন্ধ   বাগান খোলার পাশাপাশি চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মাণোন্নয়নকে রাজ্য সরকার যে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সেই বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।১৫থেকে ৩০ডিসেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার চলবে।সেই পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে আদিবাসীদের শংসাপত্র থেকে লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার-স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা যে মিলবে তাও স্পষ্ট করেন তিনি। উদ্বাস্তুরা উত্তরবঙ্গে গর্বের সঙ্গে বাস করতে পারবে বলেও ভরসা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

কৃষকদের সহায়তার জন্য বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কৃষকদের একাউন্টে আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে রবিবার আলিপুরদুয়ার থেকে ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই টাকা পেতে চলেছেন রাজ্যের ১ কোটি ২০ লাখ কৃষক।উত্তরবঙ্গে পর্যটনের প্রসার হচ্ছে। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।পাহাড়ে ক্ষুদ্র শিল্পে ২৪হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে । তৈরি হচ্ছে আইটি হাব,ইনডাস্ট্রিয়াল পার্ক। পর্যটন থেকে শিল্পে উত্তোরণের বহুমুখী সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে যুবসমাজকে আগামীর পথ খুঁজে নেওয়ার ডাকও দেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষককে কৃষকবন্ধু সাহায্য,আদিবাসীদের পাট্টা বা অধিকার প্রদান করে কার্যতঃ বিরোধীদের অস্ত্র তিনি ভোঁতা করে দিলেন।বুঝিয়ে দিলেন উন্নয়নের অস্ত্রেই বিজেপি সহ বিরোধীদের ভোটরাজনীতিতে বোল্ড আউট করতে।

Related Articles