রাজ্যের খবর
Trending

গঙ্গাসাগর মেলায় সম্ভাবনা রেকর্ড ভিড়ের, ক্রাউড ম্যানেজমেন্টে বাড়তি গুরুত্ব

Gangasagar Mela, Added Importance to Crowd Management

The Truth Of Bengal: জানুয়ারি মাসে আয়োজন করা হবে গঙ্গাসাগর মেলার।সংস্কার করা হয়েছে কপিল মুণির আশ্রমের।বাড়ানো হয়েছে অত্যাধুনিক আলো।গতবারের তুলনায়  এবার রেকর্ড ভিড় হতে পারে।যোগাযোগের মতোই পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। দেশ-বিদেশের মানুষের কথা ভেবে ক্রাউড ম্যানেজমেন্টে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।

দেশের যেকোনও তীর্থে  বারবার গিয়ে যে পুণ্য সঞ্চয় হয়,সেখানে গঙ্গাসাগরে একবার গেলেই পুণ্যের ঘট ভরে ওঠে।এই বিশ্বাস আর আস্থাকে সঙ্গী করে হাজার হাজার মানুষ ডুব দেন সাগরে।গতবার ৫০লক্ষ পুণ্যার্থী এই সাগর সঙ্গমের পবিত্র তটে হাজির হন।ধর্মীয় তীর্থস্থানকে পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র করে তুলতে ইতিমধ্যে সরকার নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে। রয়েছে কপিলমুনির আশ্রমের আমূল সংস্কারের কর্মযজ্ঞ, ১কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা, ৪৩ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী স্নানের ঘাট।

বর্তমানে যে জায়গায় মন্দির রয়েছে সেখান থেকে বঙ্গোপসাগরের দূরত্ব ছিল প্রায় ১২০০ মিটার। কিন্তু বার বার নদী বাঁধের ভাঙন  সেই দূরত্ব কমিয়ে এনেছে। বর্তমান জায়গায় দাঁড়িয়েছে ৫০০ মিটারে।তাই কপিলমুনির আশ্রম চত্বর থেকে বৃহত্তর গঙ্গাসাগরের ভোলবদলের কাজও শেষ হয়েছে।এই অবস্থায় ২০২৪এ গঙ্গাসাগর মেলায় রেকর্ড ভিড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এডিএম   অনীশ দাশগুপ্ত, এডিএম   হরসিমরন সিং,  এসডিও (আলিপুর)  মেলার প্রস্তুতি ঘুরে দেখেছেন।নতুন বছরে জানুয়ারি মাসে   হবে গঙ্গাসাগর মেলা। গত বছর মেলায় প্রায় ৫০ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছিলেন। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বছর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে মেলার প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে।পঞ্চায়েত থেকে জেলা প্রশাসন,সুসমন্বয় গড়ে গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজন করার চেষ্টা চলছে।

গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরের কিছু অংশ সংস্কার করা হছে। মন্দিরে লেগেছে নতুন রঙের ছোঁয়া। সমুদ্রতটে পাড় বাঁধানোর কাজও শুরু হয়েছে। মন্দিরের রাস্তার দু’ধারে থাকা খারাপ ত্রিফলাবাতি সারানো হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। মন্দির চত্বরে তৈরি হচ্ছে পাকা নিকাশি নালা।

পাশাপাশি, মু্ড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং করে পলি তোলার কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর।   স্বাস্থ্য দফতরও পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য আয়োজনে খামতি রাখতে নারাজ।

জরুরীকালীন ক্ষেত্রে,এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সহ নানা ব্যবস্থা রাখা হতে পারে।যোগাযোগের সেতুবন্ধন করে গঙ্গাসাগরের মেলা প্রাঙ্গনকে যে ঢেলে সাজানো হচ্ছে তা বলাই  যায়।

Free Access

Related Articles