
The Truth of Bengal: বিশ্বভারতীর ফলকে নয়া নির্দেশ, ফলকে থাকবে না আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীর নাম। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ফলক বিতর্কে জানিয়েছে সিদ্ধান্ত। বিশ্বভারতীতে বসানো হবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি স্বরূপ নতুন ফলক। ফলকে কী লেখা হবে তা ঠিক করতে কমিটি গঠন। ৪ অধ্যাপককে নিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।বিতর্কের অবসান। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত ফলক বাতিল করার নির্দেশ। বিতর্কিত ফলক বাতিল করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নতুন ফলক বসাতে বলা হয়েছে। সেই ফলকে কী লেখা থাকবে তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে। তবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসতে চলা নতুন ফলকে আচার্য হিসাবে আচার্য প্রধানমন্ত্রী বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম থাকবে না।
নতুন ফলকে লেখার বিষয় হিসেবে একটি অনুচ্ছেদ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইংরেজি, বাংলা এবং হিন্দি ভাষায় ওই অনুচ্ছেদ লেখা হবে বিশ্বভারতীর নতুন ফলকে। ইংরেজি অনুচ্ছেদটি হিন্দি ও বাংলা ভাষায় অনুবাদ এবং ফলক তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। ৬ সদস্যের ওই কমিটিতে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার জন বিভাগীয় প্রধান এবং দু’জন ইসি সদস্য। উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী একটি ফলক লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই ফলকে আচার্য ও উপাচার্যের নাম থাকলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ছিল না।
যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। কবিগুরুর অবমাননার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলন শুরু করেছিল। ধর্নামঞ্চ তৈরি করে লাগাতার বিক্ষোভ চালায় শান্তিনিকেতনে। এরই মাঝে বিশ্বভারতীতে উপাচার্য পদে বদল হয়। সরানো হয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। তাঁর জায়গায় নয়া উপাচার্য হয়েছেন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। বিশ্বভারতীতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পর্ব অতীত হতেই অবসান হল ফলক বিতর্ক। কবিগুরুর নাম না থাকা ফলক সরিয়ে এবার নয়া ফলক বসাতে বলা হয়েছে। যেখানে নাম থাকবেই না তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। কেন্দ্রে এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের জয় হিসেবে দেখছে রাজ্যের শাসক দল।